ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: কখনও ভোট পরবর্তী হিংসা আবার কখনও গরুপাচার মামলায় সিবিআই হাজিরার মুখোমুখি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সিবিআইয়ের দুঁদে আধিকারিকদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। এবার সিবিআই তলব নিয়ে মুখ খুললেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। বিজেপি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁকে তলব করছে বলেই অভিযোগ অনুব্রতর।
সিবিআই তলব নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “আমি চুরিও করিনি। ডাকাতিও করিনি। আমি মহাদেবের ভক্ত। মিথ্যা অভিযোগে আমাকে ডাকা হচ্ছে।” পদ্মশিবিরকে খোঁচা দিয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি বলেন, “বিজেপি সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজনীতি করে। সংগঠন কোথায়? রাজনীতি করতে হলে মাঠে নেমে করুক।”
[আরও পড়ুন: লোহার রড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে কীভাবে ঢুকল হাফিজুল? তদন্তে SIT গঠন]
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল গরু পাচার মামলায় হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অনুব্রত মণ্ডলের। সেই মতো ঠিক তার আগের দিনই কলকাতায় চলে আসেন তৃণমূল নেতা। ৬ তারিখ নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনুব্রত। এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে ভরতি হন। একাধিক শারীরিক সমস্যা ছিল তাঁর। টানা ১৭ দিন ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা। এরপর গত ২ জুনও সিবিআই আধিকারিকদের তলবে নিজাম প্যালেসে আসেন তিনি।
সিবিআই তলব এবং শারীরিক অসুস্থতার জেরে দীর্ঘ দু’মাস রাজনীতির ময়দানে আর দেখা যায়নি তাঁকে। তবে মঙ্গলবার জেলা তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে যোগ দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। বোলপুরের দলীয় কার্যালয়ে জেলার তৃণমূল নেতাদের ডাকা হয়। দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলেও জানান অনুব্রত। তিনি বলেন, “২১জুলাই আমি কলকাতা যাব। হয়তো হাঁটতে পারবো না, কিন্তু থাকব।” তবে খুব শীঘ্রই যে ফের সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরবেন অনুব্রত তা তিনি নিজেই জানান। বলেন, “পুজোর পর সব ব্লকে সভা করব।”