শেখর চন্দ্র, আসানসোল: পুজোর ঢাকে কাঠি। পুজো প্রস্তুতিতে মজে গোটা বাংলা। তবে এবার বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দুর্গাপুজো কাটবে আসানসোল বিশেষ সংশোধনারে। একেবারে অন্যরকমভাবে মহালয়াও কাটল বীরভূমের ‘বেতাজ বাদশা’র।
জেল সূত্রে খবর, মহালয়ার দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ঘুম ভাঙে অনুব্রতর (Anubrata Mandal)। ঘুম থেকে উঠেই স্নান সারেন। সংশোধনাগার চত্বরেই তর্পণ সেরে নেন। জেলে রেডিও নেই। তবে রয়েছে টিভি। ভোর থেকে সেখানে মহিষাসুরমর্দিনী সংক্রান্ত নানা অনুষ্ঠান চলছিল। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অবশ্য টিভির পর্দায় নজর রেখেছিলেন কিনা, তা জানা যায়নি। আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে প্রতি রবিবার মেনুতে মাংস থাকে। মহালয়াতেও নির্দিষ্ট সূচি অনুযায়ী মাংস রান্না হয়েছে। অনুব্রতর পাতেও পড়ে মুরগির মাংস।
[আরও পড়ুন: মহালয়ায় বোধন, ওইদিনই ঘট নিরঞ্জন, বাংলার কোথায় একদিনের দুর্গাপুজো হয়?]
আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারের জেল সুপার কৃপাময় নন্দী একসময় শিলিগুড়িতে ছিলেন। সেই সময় জেল সুপারের উদ্যোগে ওই সংশোধনাগারে দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। এবার আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারেও কি কৃপাময়বাবু দুর্গাপুজোর উদ্যোগ নেবেন? সে প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে শুরু করেছিল। তবে শেষমেশ জানা যায় আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে দুর্গাপুজো হচ্ছে না। কারণ, তাতে নিরাপত্তাজনিত সমস্যা দেখে দিতে পারে। বর্তমানে আসানসোল জেলে গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডল, তাঁর ব্যক্তিগত দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানি এবং ইসিএলের আট কর্তার মতো হাই প্রোফাইল অভিযুক্তরা রয়েছেন। অথচ আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে নিরাপত্তারক্ষী অত্যন্ত কম। তাই দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হচ্ছে না।
তবে পুজোর কটাদিন মেনু সামান্য বদল করা হয়েছে। পুজোয় একদিন ভাতের বদলে ফ্রায়েড রাইস খেতে দেওয়া হতে পারে বন্দিদের। সপ্তমী এবং নবমীতে বন্দিদের দেশি মুরগির মাংসের ঝোল দেওয়া হবে। দশমীতে কাতলা মাছের ঝোল দেওয়া হতে পারে অভিযুক্তদের। প্রতিদিন মিষ্টিও দেওয়া হবে তাঁদের। উল্লেখ্য, এর আগে অনুব্রত মণ্ডল একাধিকবার খাবার নিয়ে নানা আবদার করেছিলেন বলেই শোনা গিয়েছিল।