শাহজাদ হোসেন, জঙ্গিপুর: ফের উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান। এবার উত্তেজনা শহর এলাকায়। একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। ভাঙচুর চালানো হয় ধুলিয়ান পুরসভাতেও। বিধায়ক মণিরুল ইসলামের দাদা কাওসার আলির বাড়িতেও তাণ্ডব চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামলাতে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিএসএফের বিরুদ্ধে। গুলিতে আহত ২। তাদের মধ্যে একজন নাবালক রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
শুক্রবার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির পর শনিবার সকালে অবস্থা স্বাভাবিক হয়। এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএসএফ মোতায়েনই ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে জানায় পুলিশ। তবে তা ক্ষণিকের! নতুন করে আবার উত্তেজনার খবর আসতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, উত্তেজিত জনতা ধুলিয়ান পুরসভা এলাকায় ভাঙচুর শুরু করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন মালদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহম্মদ জামাল। এদিকে বিএসএফের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। তাতে আহত হয়েছেন মুদ্দিন শেখ নামের এক যুবক। তাঁর পায়ে গুলি লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। গুলিতে এক হাসান শেখ নামের এক নাবালকও আহত বলে খবর। তাদের জঙ্গিপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভাঙচুর চালানো হয়েছে সামশেরগঞ্জের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি কাওসার আলির বাড়িতেও। যাকে ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠছে মুর্শিদাবাদ। প্রথমে জঙ্গিপুরে উত্তেজনা ছড়ায়। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুসারে, এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি থাকলেও শুক্রবার বিকেল থেকে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে জনতা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি শুরু করে জনতা। বোমাবাজিও হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পুলিশ লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোড়ে। তাতে অবস্থা আরও বিগড়ে যায়। সরকারি-বেসরকারি বাস, অ্যাম্বুল্যান্স জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরে বিএসএফ নামানো হয়। প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এরপরও ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মুর্শিদাবাদ।
