সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: দিল্লি হাই কোর্টে আবারও পিছোল ইডি’র মামলার শুনানি। ফের স্বস্তিতে অনুব্রত মণ্ডল। এখনই দিল্লিতে যেতে হবে না তাঁকে। আপাতত আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারেই থাকবেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২ ফেব্রুয়ারি।
গত বছরের আগস্ট মাসে বীরভূমের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) গরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার করে সিবিআই। তদন্তে তাঁর নামে ও বেনামে পাহাড় সমান সম্পত্তির খোঁজ মেলে। এরপর ইডি’র নজরে পড়েন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, অনুব্রতকন্যা সুকন্যাকে দিল্লিতে জেরা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অনুব্রত ও সুকন্যার হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও। সেই তথ্যের ভিত্তিতে অনুব্রতকে জেরার পর গত ১৭ নভেম্বর গ্রেপ্তার করে ইডি।
[আরও পড়ুন: ছুটির দিনে শোভনদেবের সাক্ষাৎপ্রার্থী বিহারের কৃষিমন্ত্রী, কারণ ঘিরে কৌতুহল নবান্নে]
তদন্তের স্বার্থে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে দিল্লি (Delhi)নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় ইডি। সেই মর্মে মামলাও দায়ের হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা মনে করছেন, তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করলে অনেক অজানা তথ্যই বেরিয়ে আসবে। এই মুহূর্তে গরু পাচার মামলায় ইডির (ED) হাতে গ্রেপ্তার হয়ে সায়গল হোসেন তিহাড় জেলে বন্দি।
তবে সোমবারও ফের পিছোল অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানানো ইডি’র মামলা। এদিন দিল্লি হাই কোর্টে বিচারপতি প্রথমে না আসায় মামলার শুনানিতে দেরি হয়। দ্বিতীয়ার্ধে মামলার শুনানি হয়। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ফের পিছোল মামলার শুনানি। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত দিল্লি যেতে হচ্ছে না অনুব্রত মণ্ডলকে। ওইদিনই বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির ভাগ্য নির্ধারণ হতে পারে।