অর্ণব দাস, বারাসত: ধারালো অস্ত্র দিয়ে গোবরডাঙার (Gobordanga) বেড়গুম ২ নম্বর পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে কোপানোর অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বুধবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার প্রতাপনগর এলাকায়। গুরুতর আহত অবস্থায় শাসক দলের অঞ্চল সভাপতি কল্যাণ দত্ত কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তৃণমূল নেতার উপর হামলার ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের গ্রেপ্তারির দাবিতে বৃহস্পতিবার হাবড়া-গোবরডাঙা রোডের প্রতাপনগর এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় দলীয় কর্মী সমর্থকরা।
স্থানীয় এবং পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, বিগত দশ বছর ধরে বেড়গুম ২ নম্বর পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি রয়েছেন কল্যাণ দত্ত। বুধবার আনুমানিক রাত ১২টা নাগাদ তিনি হরিনাম সংকীর্তন থেকে বাইকে করে বাড়িতে ফিরছিলেন। অভিযোগ, সেইসময় প্রতাপনগর এলাকায় কল্যাণবাবুকে পিছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায় দুষ্কৃতীরা। তার মাথায় এবং পিঠে কোপানো হয় বলে খবর। রক্তাক্ত অবস্থায় এলাকাবাসী তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘আপনাকে পোশাক খুলে উলঙ্গ করব’, ছাতনা থানার আইসিকে প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি বিজেপি নেতার]
পরিবার এবং দলীয় নেতৃত্বের দাবি, বেড়গুম অঞ্চলে জলাভুমি ভরাট করার একটা চক্র রয়েছে। কল্যাণবাবু এই পুকুর ভরাটে বাধা দিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই কারণেই তাঁকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল। এবিষয়ে হাবড়া ১ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অজিত সাহা বলেন, “তার এক আত্মীয় জলাশয় ভরাটের সঙ্গে যুক্ত। কল্যাণ এলাকার জলাশয় ভরাটে বাঁধা দেওয়ায় প্রশাসন তা বন্ধ করে দেয়। সেই আক্রোশেই তাকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা হয়েছিল।”
পুলিশ জানিয়েছে, এলাকার পুকুর ভরাট নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই কল্যাণ দত্তর সঙ্গে ঝামেলা ছিল তার খুড়তুতো ভাইয়ের বলে জানা গেছে। আক্রান্তের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তর খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।