জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: জমি নিয়ে বিবাদের জেরে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতিকে কোপানোর অভিযোগ উঠল বর্তমান পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ ব্লকের গঙ্গানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচবেড়িয়া এলাকায় ৷ অভিযোগ অস্বীকার করছে অভিযুক্তরা। তাঁরা পুরো বিষয়টি দলকে জানিয়েছে বলেও খবর।
জানা গিয়েছে, আহত প্রাক্তন সভাপতির নাম অনিমা মণ্ডল ৷ তিনি বর্তমানে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরিবারের পক্ষ থেকে থানাতে অভিযোগ করা হয়েছে তৃণমূলের বনগাঁ ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির-সহ সভাপতির জাফর আলি মণ্ডল, অজিত সরকার, ভাস্কর সরকার, রাহুল সরকার-সহ একাধিকের। মারধরের ঘটনায় উভয়পক্ষের চারজন জখম হয়৷ বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভরতি। পুলিশ ভবেশ সরকার নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে ৷
[আরও পড়ুন: ঠিক যেন থ্রিলার! NIA’র ওয়ান্টেড লিস্ট প্রকাশ হতেই কানাডায় ‘খুন’ খলিস্তানি]
অভিযোগ অস্বীকার করেছে জাফর আলি মণ্ডল বলেন, “গতকাল আমি ছিলামই না। ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। উনি এবার টিকিট পায়নি বলে এমন অভিযোগ করছে। দলকে পুরো বিষয়টি জানিয়েছি।” পালটা অনিমাদেবী বলেন, “আমাকে আগে জাফর হারিয়েছিল। এবার তৃণমূলে যে দাঁড়িয়েছেন সে হেরেছেন। সেখানে আমাদের কোনও বিষয় নেই। কিন্তু সেই হারার আক্রোশে জমিজমা নিয়ে গন্ডগোল বাঁধিয়ে জাফরের নেতৃত্বে তাঁর লোকজন গিয়ে আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেরেছে ৷ আমি দলের নেতৃত্বকে জানিয়েছি ৷”
অনিমা দেবীর ছেলে রাজীব মণ্ডল জানান, প্রতিবেশী সরকার পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন একটি জমি নিয়ে সমস্যা ছিল। দীর্ঘদিন আগে সেখানে সিমেন্টের খুঁটি পোতা রয়েছে। এদিন হঠাৎ সরকার পরিবারের লোকজন সেই খুঁটি তুলতে এলে, তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা শুরু হয় ৷ অভিযোগ, এর পরেই জাফরের লোকজন স্ত্রী পিংকি মণ্ডলকে টেনে নিয়ে যায়। অনিমাদেবী-সহ পরিবারের অন্যরা প্রতিবাদ করতেই তাঁদের মারধর করা হয় ৷ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চেষ্টা করা হয় ৷ পিংকিদেবী এই ঘটনায় জখম হয়েছে ৷