সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ত্রিপুরায় ভোটপ্রচারে গিয়ে বিতর্কে এরাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। সোনামুড়ায় এক সভায় বিপ্লব দেবকে হুঁশিয়ারি দিতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন ফিরহাদ। তাঁকে বলতে শোনা গেল, “এখানে আমাকে একটা মারলে ওখানে পাঁচটা মারব।”
শনিবার সোনামুড়ায় এক সভায় ফিরহাদ হাকিম বিজেপিকে (BJP) তোপ দেগে বলেন,”আমাদের কর্মীদের মেরে হাসপাতালে পাঠাচ্ছে। আমাদের পাঁচ মিনিট লাগবে জবাব দেবে। বিপ্লব দেব (Biplab Deb) কুয়োর ব্যাং। ও ভাবে কুয়োটাই পৃথিবী। আমাকে এখানে একটা মারলে ওখানে আমি পাঁচটা মারব।” পরক্ষণেই অবশ্য নিজেকে সামলে নেন ফিরহাদ। বলেন,”কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তিনি বিশ্বাস করেন সবার উপর মানুষ সত্য। তাই তৃণমূল মানুষের সমর্থনে ভোটে জিতবে।”
[আরও পড়ুন: ‘ইমরান খান আমার বড় ভাই’, ফের ‘পাকিস্তান প্রেম’ নিয়ে বিতর্কে কংগ্রেস নেতা সিধু]
ফিরহাদের এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে বিজেপি। ত্রিপুরার এক বিজেপি নেতার অভিযোগ, “ভেঙে দেব, গুঁড়িয়ে দেব, এই ধরনের মন্তব্যের আমরা তীব্র বিরোধিতা করছি। বিজেপি এই ধরনের রাজনীতি সমর্থন করে না। এতেই তৃণমূলের (TMC) সংস্কৃতি বোঝা যাচ্ছে। ওঁরা নিজেদের রাজ্যে জায়গা না পেয়ে ত্রিপুরায় এসে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। ত্রিপুরায় এই ধরনের হুমকির রাজনীতি চলবে না।”
[আরও পড়ুন: লক্ষ্য উত্তরপ্রদেশে সংগঠন মজবুত করা, কমলাপতি ত্রিপাঠীর উত্তরসূরিকে রাজ্যসভায় পাঠাতে পারে তৃণমূল]
বস্তুত, পুরভোটের প্রচারের শেষলগ্নে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ত্রিপুরা। ক্রমাগত বিরোধীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে শাসক বিজেপির বিরুদ্ধে। বিরোধী নেতাদের আক্রমণ, গাড়ি ভাঙচুর, ঘেরাও, বিরোধী কর্মীদের মারধরের মতো ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক। এরাজ্যের প্রথম সারির নেতানেত্রীরাও ছাড় পাচ্ছেন না। শনিবারও তৃণমূল নেতা বাবুল সুপ্রিয়কে আক্রান্ত হতে হয়েছে রামনগর ফাঁড়ি এলাকায়। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিজেপি কর্মীরা। বাবুলকে লক্ষ্য করে দেওয়া হয়েছে স্লোগানও। শেষপর্যন্ত পুলিশের সাহায্যে ঘটনাস্থল ছাড়েন বাবুল। বিজেপি সরকারের এ হেন চাপের মুখে দলের কর্মীদের চাঙ্গা করতে গিয়েই শনিবার বেফাঁস মন্তব্য করে বসেছেন এরাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী। আগরতলার রাজনৈতিক উত্তাপ অনেকটাই বাড়িয়ে দিল ফিরহাদের এই মন্তব্য।