ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্য়োপাধ্যায়: তারিখ পে তারিখ! না আদালতের কোনও মামলা নয়। বরং বঙ্গ রাজনীতির নয়া ট্রেন্ড এটাই। বিজেপি এতদিন বাজার গরম করেছে ‘ডিসেম্বর ধামাকা’ দিয়ে। সেই ‘ধামাকা’য় শুভেন্দু অধিকারীর নতুন সংযোজন তিনটি তারিখ-১২, ১৪ ও ২১ ডিসেম্বর। এবার বিজেপির সেই ‘ডিসেম্বর বোমা’র পালটা দিলেন তৃণমূলের রাজ্য় সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। জানুয়ারি মাসের একটি তারিখ-সহ সময় জানিয়ে রাখলেন তিনি।
কুণাল ঘোষের টুইট ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে নয়া জল্পনা। কাঁথির জনসভা থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন, জানুয়ারি মাসে তৃণমূলের দরজা তিনি খুলবেন। অর্থাৎ বিজেপি থেকে কোনও সাংসদ-বিধায়ক দলবদল করতে পারেন। তাহলে কি সেই দলবদলের দিনক্ষণ আগাম জানিয়ে দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র? এটাই এখন বঙ্গ রাজনীতিতে লাখ টাকার প্রশ্ন। এ প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, “দরজা খোলার ব্যাপারে অনেক আবেদন আছে। সাংসদ, বিধায়ক ও সাংগঠনিক নেতাদের আবেদন আছে। তবে দরজা খোলা পুরোদস্তুর অভিষেকের ব্যাপার।”
[আরও পড়ুন: G-20 সম্মেলনে রাজ্যের ভাল দিক তুলে ধরার বার্তা মোদির, বৈঠকে বলার সুযোগ পেলেন না মমতা]
শনিবার টুইটারে কুণাল ঘোষ লেখেন, “একজন নবীশ জ্যোতিষী অনেক তারিখ দিয়েছেন। এবার আমি একটা দিনক্ষণ জানাচ্ছি। এটা আমি এক অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর কাছ থেকে পেয়েছি। তিনি আমাকে বলেছেন, ডিসেম্বরে বিয়ের তারিখ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কোনও দিন নেই। কিন্তু ২০২৩ সালে ২ জানুয়ারির দুপুর ১২টা কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ।”
যদিও তৃণমূল নেতার এই ভবিষ্যতবাণীতে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানান, এসব রটনা। ভুয়ো কথায় রাজ্যবাসী ভুলবে না। তারা চাকরির হিসেব চায়, দুর্নীতির হিসেব চায়।” সে যে যাই বলুক, বিজেপির অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে অন্য কথা। অভিষেকের হুঁশিয়ারির পর থেকেই দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে মুকুল রায়, বাবুল সুপ্রিয়র পর এই তালিকায় নাম লেখাবেন কারা?
[আরও পড়ুন: G-20 সম্মেলনে রাজ্যের ভাল দিক তুলে ধরার বার্তা মোদির, বৈঠকে বলার সুযোগ পেলেন না মমতা]
প্রসঙ্গত, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘১২, ১৪ ও ২১ ডিসেম্বর তারিখ তিনটিতে নজর রাখুন, নিশ্চয়ই কিছু ঘটবে। ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ।’’ যদিও সেই হুঁশিয়ারির রহস্য ফাঁস করেছেন আরেক বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। বলেন, চলতি মাসে অনেকগুলি মামলার শুনানি রয়েছে। সেরকমই কোনও তারিখের কথা বলতে চেয়েছেন বিরোধী দলনেতা। একই সুর শোনা গিয়েছে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের গলাতেও।