ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ভগবানপুরে হামলায় জখম তৃণমূল কর্মীর অবস্থা দেখে দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি তুললেন কুণাল ঘোষ। তমলুক জেলা হাসপাতালে ভরতি জখম মিহির ভৌমিককে দেখতে শুক্রবার সেখানে পৌঁছন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একটি সভা করেছিলেন। সেই সভায় তাঁর বক্তব্যে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায় বলে অভিযোগ তোলে তৃণমূল। ভাষণে তৃণমূল নেতা মিহির ভৌমিকের নাম নিয়েছিলেন শুভেন্দু। তারপরই উসকানি ও প্ররোচনা ছড়ায় বলে অভিযোগ। মিহিরবাবু ভগবানপুর বিধানসভার বরোজ-২ অঞ্চলের উপপ্রধান। শুভেন্দু সভা করে যাওয়ার পরেই মিহিরবাবু আক্রান্ত হন। শুভেন্দুর সভা থেকেই তাঁর উপর হামলার ষড়যন্ত্র হয়েছিল বলে দাবি তৃণমূলের।
এরপর শুক্রবার তমলুক হাসপাতালে আক্রান্ত মিহির ভৌমিককে দেখতে যান তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। কাঁথিতে শনিবার দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা। সেই সভার প্রস্তুতি দেখতে যাওয়ার আগেই তমলুক জেলা হাসপাতালে আহত কর্মীকে দেখতে পৌঁছন কুণাল। মিহিরবাবুর জন্য ফল নিয়ে যান। দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। পুলিশের কাছে দোষীদের গ্রেপ্তারের আবেদন জানান।
[আরও পড়ুন: ঝালদা পুরসভার ৬ বিরোধী কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নয়, নির্দেশ হাই কোর্টের]
জখম তৃণমূল উপ-প্রধান মিহির ভৌমিক জানান, মঙ্গলবার ঘটনার দিন সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলের গ্রাম পঞ্চায়েতের সংসদ সভায় যান। তখনই তাঁর উপর নজরদারি শুরু হয়। চায়ের দোকানে যাওয়ার সময় বিজেপি আশ্রিত ২৫-৩০ জন হামলা চালায় বলে অভিযোগ তাঁর। অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাঁকে ঘিরে ধরে। বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারধর করে। মিহিরবাবুর দাবি, “বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করতে পেরেছি। তৃণমূল কর্মীরা গিয়ে পিস্তলের গুলিও উদ্ধার করেছে। পুলিশকে সব জানানো হয়েছে। আমি দোষীরা গ্রেপ্তার হোক চাই।” জখম হয়ে রক্তাক্ত অবস্থাতেই ভূপতিনগর থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান মিহির ভৌমিক।
পরে কুণাল ঘোষ বলেন, “একজন দোষীকেও ছাড়া হবে না। এই ঘটনা শুভেন্দুর মদতেই হয়েছে। কাঁথিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করবেন, আর তাতেই ভয় পেয়ে শুভেন্দু গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছে। প্ররোচনা দিচ্ছে। কর্মী-সমর্থকদের বলবো, বিজেপির কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না।”