ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: এমন দোটানায় কেউ কখনওই বোধহয় পড়েননি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) নিজের পাড়ার ওয়ার্ড ৭৩। সেই ওয়ার্ডেই ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছেন মমতা। প্রার্থী হিসাবে নতুন মুখ হলেও পাড়ারই মেয়ে কাজরী। অনেকেই জানেন যে, এই কাজরী সিপিএম বাড়ির মেয়ে। একই পাড়ার। তাঁর মা ভারতী সেনগুপ্ত সিপিএম নেত্রী। দলের শৃঙ্খলা তিনি জানেন। কিন্তু তার পরও মেয়ের হয়ে একদিন প্রচারে থাকতে চেয়েছেন ভারতীদেবী। এও কি সম্ভব?
নিজে সিপিএম নেত্রী। মেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের বধূ। তাঁদেরই পাড়ায় তৃণমূলের (TMC) প্রার্থী। এই দোটানার মধ্যেও দলের কাছে মেয়ের হয়ে প্রচারে অন্তত একবার থাকার অনুরোধ করেছিলেন মা ভারতীদেবী। কিন্তু তা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে তাঁর দলও। বলেছে, পার্টির শৃঙ্খল ভারতীদেবী জানেন। আগে দল, পরে ব্যক্তি। এই অবস্থায় ভারতীদেবীর পক্ষে তাঁর মেয়ের প্রচারে থাকার কোনও সম্ভাবনাই নেই। সেটা উনিও উপলব্ধি করতে পারছেন। পরিস্থিতি যাই হোক, ছোট ছোট দল করে শনিবার থেকেই প্রচারে নেমে পড়েছেন কাজরী। একদিকে নেমেছেন তাঁর স্বামীও। আক্ষেপ থেকে যাচ্ছে ভারতীদেবীরই।
[আরও পড়ুন: সেক্টর ফাইভে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, চলন্ত বাস থেকে নামার সময় অন্য বাসের ধাক্কায় মৃত যুবক]
রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় একঝাঁক নতুন মুখ তালিকায় থাকায় বাদ গিয়েছেন পুরনো সৈনিকরা। কারও বিরুদ্ধে উঠেছে স্বজনপোষণের অভিযোগ, আবার কারও বিরুদ্ধে গোষ্ঠীকোন্দলে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। যার ফলে দলীয় ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলেই অভিযোগ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দলের প্রতীক দেখিয়ে ভোটে জয় পাওয়ার পরেও সংগঠনকে শক্তপোক্ত করে তোলার জন্য কোনও কাজ করেননি অনেকেই। যদিও এ বিষয়ে ঘাসফুল শিবিরের বিরুদ্ধে বাদ পড়ার কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি।
তবে যাঁদের নাম ঘোষিত হয়েছে, তাঁরা সকলেই জোরকদমে প্রচারে নেমে পড়েছেন। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে প্রচার চলছে। চলছে দেওয়াল লিখনও। করোনা, আমফান, ইয়াসকালে পুরসভার কাজের উপর ভরসা করেই প্রচার চালাচ্ছেন প্রার্থীরা।