বিক্রম রায়, কোচবিহার: রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক। মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ (Rabindranath Ghosh) লেখেন, “দলের পুরনো কর্মীরা ভাল নেই।” তারপরই তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজনৈতিক মহলে। এদিকে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর ফেসবুক পোস্টের পরই আরেকটি পোস্ট করেন প্রাক্তন জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। লেখেন, ‘বিলম্বিত বোধদয়।’ সঙ্গে অবশ্য তাঁর সংযোজন, ‘ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ফুটবল বিশ্বকাপ।’
টানা ২২ বছর কোচবিহারের জেলা সভাপতি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। ছিলেন দু’বারের বিধায়ক। এমনকী, মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কোচবিহারের মুখ থুবড়ে পড়েছিল তৃণমূল। এরপরই জেলা সভাপতি পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে দলের কাউন্সিলর এবং কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্য়ান পদে রয়েছেন তিনি। তৃণমূল সূত্রে খবর, দলীয় সংগঠনে সক্রিয়তা কমেছে তাঁর। গুরুত্বও খর্ব হয়েছে। কোচবিহারের রাজনৈতিক মহলে কান পাতলেই শোনা যায়, রবি ঘোষের তৎকালীন সতীর্থ জিতেন বর্মন, বিনয়কৃষ্ণ বর্মনরাও দলে কোনঠাসা। পদহীন তাঁরা। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর ফেসবুক পোষ্ট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[আরও পড়ুন: ‘তদন্তভার দেওয়া হোক নিরপেক্ষ সংস্থার হাতে’, হটুগঞ্জে সভার আগে অশান্তি নিয়ে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর]
তবে ফেসবুক পোস্ট নিয়ে জলঘোলা করকে চান না তৃণমূলের অনুগত সৈনিক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তাঁর দাবি, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিগত প্রকাশের স্থান। আমি পোস্ট করতেই পারি। কোনও রাজনৈতিক দলের জন্য যে এটা পোস্ট করেছি, তার কোনও মানে নেই।”
এরপর জেলার প্রাক্তন অস্থায়ী সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় পালটা ফেসবুক পোস্ট করেন। লেখেন, “বিলম্বিত বোধদয়। ‘ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ফুটবল বিশ্বকাপ।” যদিও এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলেই দাবি তৃণমূল নেতার। উল্লেখ্য, একসময় রবি ঘোষ ও পার্থপ্রতিম রায়ের মধ্যে সুসম্পর্ক ছিল। কিন্তু বর্তমানে তাঁদের সম্পর্ক সাপে-নেউলে। ফলে ফেসবুকে পোস্ট, পালটা পোস্ট ঘিরে সরগরম কোচবিহারের রাজনীতি।