সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টিকিট পাননি নুসরত জাহান। সন্দেশখালি (Sandeshkhali) আবহে বসিরহাটে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন দলের ‘বিশ্বস্ত’ সৈনিক হাজি নুরুল ইসলাম। ২০০৯ সালে উত্তর ২৪ পরগনার এই লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের (TMC) টিকিটে জিতে সাংসদ হন তিনি। তাঁর আমলে সন্দেশখালিতে শাহজাহানের রমরমা ছিল না? তখন তিনি প্রতিবাদ করেননি কেন?
এই প্রশ্ন করা হলে তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম বলেন, “শাহজাহান তখন সিপিএমে ছিল। পরে তৃণমূলে যোগ দেয়।” কিন্তু কেন প্রাক্তন সাংসদ হিসেবে তিনি শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) স্বরূপ জানিয়ে তাঁকে দলে নিতে নিষেধ করলেন না? সেই প্রশ্নের জবাব অবশ্য মেলেনি। সন্দেশখালি কাণ্ডের জেরে এবার হটস্পট বসিরহাট (Basirhat) লোকসভা কেন্দ্র। ভোটবাক্সে শাহজাহান কাণ্ডের ফায়দা তুলতে বসিরহাটে জাতীয় ক্রিকেটার মহম্মদ শামিকে প্রার্থী করতে পারে বিজেপি। সেক্ষেত্রে কী স্ট্র্যাটেজি নেবে তৃণমূল? জয়ের ব্যাপারে কি ভয় পাচ্ছেন তিনি?
[আরও পড়ুন: লোকসভা নির্বাচনে ৪২ আসনে তৃণমূলের প্রার্থী কারা, দেখে নিন তালিকা]
প্রশ্নের জবাবে ‘ডোন্ট কেয়ার’ কায়দায় ছক্কা হাঁকালেন নুরুল ইসলাম। তাঁর সাফ দাবি, ওসব কোনও ব্যাপার নয়। বসিরহাটের মানুষ আয়লা-আমফানের কথা মানুষের মনে আছে। মানুষ তৃণমূলকে চেনে। প্রতীক জানে। তৃণমূলকেই ভোট দেবে। কিন্তু প্রাক্তন সাংসদ নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে তো মারাত্মক ক্ষোভ রয়েছে? সেই ক্ষোভ সামাল দেবেন কী করে? প্রচারে বেরনোর আগে হাজি নুরুল ইসলাম বলছেন, “উনি নির্বাচিত সাংসদ। ওঁর বিষয় কিছু বলব না।”
দেখুন ভিডিও: