shono
Advertisement

সৌগত রায়কে ফোন, জিতেন্দ্রর পথ ধরে তৃণমূলেই কালনার ‘বিক্ষুব্ধ’বিধায়ক বিশ্বজিৎ

দলের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন বিশ্বজিৎ কুণ্ডু।
Posted: 08:56 AM Dec 19, 2020Updated: 08:56 AM Dec 19, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলবদল ইস্যুতে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। একের পর তৃণমূল (TMC) বিধায়কদের দলত্যাগের সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হচ্ছে নানা জল্পনা। তবে তারই মাঝে লেগে রয়েছে ভোলবদল। নাটকীয়ভাবে দলত্যাগের পরেও শুক্রবার রাতে ঘাসফুল শিবিরে থাকার বার্তা দিয়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। আর সেই একই পথ অনুসরণ করলেন কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডুও। সৌগত রায়কে ফোন করে দলের থাকার বার্তা দিয়েছেন। এমনকী বেশ কয়েকজন তৃণমূল কাউন্সিলর, পঞ্চায়েত সদস্যরা ফের ঘাসফুল শিবিরে ফিরে আসার কথা জানিয়েছেন।

Advertisement

দুর্গাপুজোর আগে রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদল করা হয়। তাঁর বিরোধী শিবিরের বলে পরিচিত কালনা পুরসভার প্রশাসক দেবপ্রসাদ বাগকে আনা হয় শহর তৃণমূলের সভাপতি পদে। তাতেই নাকি বিশ্বজিৎবাবুর গোঁসা হয়েছে বলে তৃণমূলের অন্দরের খবর। তারপর থেকে দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডুর (Biswajit Kundu)। দিনকয়েক আগে তিনি অভিযোগ করেন, “ছাপ্পা মেরেই ২০১৫ সালে পুরভোটে জয়লাভ করেছেন কালনার তৃণমূল চেয়ারম্যান।” এছাড়াও কালনা পুরসভার প্রশাসক তথা শহর তৃণমূলের সভাপতি দেবপ্রসাদ বাগের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন। অভিযোগ করেন, জমি কেনাবেচা-সহ নানা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত দেবপ্রসাদ বাগ। তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) এবং শীর্ষনেতৃত্বের বিরুদ্ধেও উষ্মাপ্রকাশ করেন কালনার বিধায়ক। তিনি বলেন, “দলের শুদ্ধিকরণের জন্য অনেক টাকা খরচ করে প্রশান্ত কিশোরকে আনা হয়। তবে শুদ্ধিকরণের পরিবর্তে অশুদ্ধিই বেশি হয়েছে।”

[আরও পড়ুন: শুভেন্দু-শীলভদ্রের পথ ধরে আর কারা ছাড়লেন তৃণমূল? একনজরে দেখে নিন তালিকা]

এদিকে, বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর বুধবার সন্ধেয় কাঁকসায় বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সুনীল মণ্ডলের বাড়ির ওই বৈঠকে যোগ দেন কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু, শালতোড়ার স্বপন বাউড়ি, গুসকরার প্রাক্তন কাউন্সিলর নিতাই চট্টোপাধ্যায়, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্য নুরুল হাসান, আসানসোলের প্রশাসক তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি, তৃণমূল নেতা কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরি-সহ বেশ কয়েকজন। তারপরেই শুভেন্দু অধিকারী, জিতেন্দ্র তিওয়ারি, কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরির পথ ধরে বিশ্বজিৎ কুণ্ডুর দলত্যাগের সম্ভাবনা তৈরি হয়। এমনকী গেরুয়া শিবিরের নাম লেখানোর জল্পনাও শোনা যাচ্ছিল। তবে শুক্রবার রাতে জিতেন্দ্র তিওয়ারির মতোই ভোলবদল বিশ্বজিৎ কুণ্ডুর। সৌগত রায়কে (Saugata Roy) ফোন করে তৃণমূলেই থাকার কথা জানান তিনি।

[আরও পড়ুন: বঙ্গ সফরের প্রথমদিনে কৃষক পরিবারে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন অমিত শাহ, কী কী থাকছে মেনুতে?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement