সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের পথই অনুসরণ করেছেন সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যের নয়া রাজ্যপালকে নিয়ে এভাবেই সমালোচনায় সরব তৃণমল মুখপত্র জাগো বাংলা। এবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রও (Madan Mitra)। তাঁর দাবি, রাজ্যপাল অ-আ-ক-খ শিখছেন। কিন্তু রাজ্য রাজনীতির কিছুই বোঝেন না তিনি।
এদিন তৃণমূলের মুখপত্রে কড়া ভাষায় সমালোচনা করা হয় বর্তমান রাজ্যপালের (CV Anand Bose)। লেখা হয়, ‘রাজ্যপাল একতরফা বিজেপির (BJP) কথা শুনে বিবৃতি দিচ্ছেন’, ‘মনে রাখতে হবে রাজ্যপাল বিজেপির ক্যাডার ছিলেন’। এবার কার্যত একই সুর মদনের গলায়। কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক বলে দেন, বাংলার শিক্ষক রেখে তিনি অ-আ-ক-খ শিখছেন ঠিকই। খুব ভাল কথা। কিন্তু রাজ্যপাল রাজ্য রাজনীতির ক্যাট-ব্যাট কিছুই বোঝেন না। রাজ্যপাল ভেবেছিলেন আস্তে আস্তে সিঁধ কাটবেন, ধরা পড়ে যাবেন ভাবেননি। রাজনীতি দিয়ে লড়তে হলে আগে বাংলাকে চিনতে হবে।
[আরও পড়ুন: বঙ্গ বিজেপি নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত দিল্লির, ক্ষমতা বাড়ল জোন ইনচার্জদের]
এরই পালটা দিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, “এতদিন তৃণমূলের গলায় অন্য সুর শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু যে মুহূর্তে রাজ্যপাল রাজ্যের কাজের বিরোধিতা করেছেন, তখনই তিনি খারাপ হয়ে গেলেন।” দিলীপের দাবি, এ রাজ্যে শাসকের বিরুদ্ধে কথা বললে এমন প্রতিক্রিয়াই দেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলায় পুলিশকে নিরপেক্ষ ভাবে কাজের নির্দেশ দিয়েছিলেন সিভি আনন্দ বোস। তারপরই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব শাসক শিবির।
এদিকে, বাংলা ভাষার প্রতি নিজের ভালবাসা ও আগ্রহের কথা আগেই ব্যক্ত করেছিলেন সিভি আনন্দ। সরস্বতী পুজোয় রাজভবনে বাংলায় হাতেখড়িও হয় তাঁর। এবার তাঁকে বাংলা শেখানোর জন্য দু’জন বাংলার শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। আজ, সোমবার থেকে শুরু ক্লাস। সপ্তাহের প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে বাংলার ক্লাস করবেন তিনি। জানা গিয়েছে, রাজ্য শিক্ষাদপ্তরের তরফেই দুই শিক্ষক নিযুক্ত হয়েছেন।