ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: জায়গায় জায়গায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election) আগে যা মাথাব্যথা বাড়িয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। আর তাই সেসব মিটিয়ে দলীয় ঐক্যে জোর দিতে বদ্ধপরিকর রাজ্যের শাসকদল। শনিবার ভাঙড়ে আরাবুল-কাইজার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে তাঁদের নিয়ে ভবানীপুরে বৈঠকে বসলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতা সুব্রত বক্সি (Subrata Bakshi)। ছিলেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক শওকত মোল্লা, আরাবুল ইসলাম, কাইজার আহমেদরা। ঘণ্টা দুই ধরে সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলেন সুব্রত বক্সি। শওকত মোল্লাকেই ভাঙড়ের সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হল দলের তরফে। সুব্রত বক্সির স্পষ্ট নির্দেশ, সকলকে শওকতের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতে হবে।
ভাঙড়ের (Bhangar) মতো স্পর্শকাতর জায়গায় দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বরাবর। কোথাও আরাবুল ঘনিষ্ঠদের প্রতাপ, কোথাও কাইজার আহমেদের, কোথাও আবার বিধায়কদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। গত বিধানসভা ভোটে ভাঙড় কেন্দ্রটি হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। সেখানে জিতেছেন সংযুক্ত মোর্চার জোটের শরিক আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকী। পঞ্চায়েত ভোটের আগে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব না মেটালে তার প্রভাব যে নির্বাচনী ফলাফলে পড়বেই, তা নিশ্চিত। আর তাই তা মেটাতে এত তৎপরতা শাসকদলের। এদিন ভবানীপুরে (Bhabanipur) ঘণ্টা দুয়েকের বৈঠকের পর সুব্রত বক্সি সকলকে স্পষ্ট নির্দেশ দিলেন, কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বরদাস্ত হবে না। নিজেদের মধ্যে কোনও গোলমাল করা হবে না। সকলে যেন শওকত মোল্লার সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলে।
[আরও পড়ুন: গ্রেপ্তারির পর প্রথমবার মুখ খুললেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত শান্তনু, কী বললেন?]
পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী নিয়েও কড়া বার্তা দিয়েছেন সুব্রত বক্সি। জানিয়ে দিয়েছেন, পঞ্চায়েতের প্রার্থী ঠিক করে দেবে দল। স্থানীয় নেতাদের পরামর্শ শোনা হতে পরে। তবে তাঁদের কথাই শেষ কথা নয়। চূড়ান্ত তালিকা ঠিক করবে দলই। আসলে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে (Sagardighi By-election) দলের হারে নেতাদের কপালে চিন্তা বড়সড় ভাঁজ পড়েছে। কেন শোচনীয় ফলাফল, তা জানতে ইতিমধ্যেই অন্তর্তদন্ত শুরু হয়েছে। এবার সামনে পঞ্চায়েত। আর কোনওভাবে কোনও প্রভাব পড়তে দেওয়া যাবে না। সেই কারণেই তড়িঘড়ি ভাঙড় নিয়ে এই সমাধান সূত্র বের করে দিলেন সুব্রত বক্সি।