রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনী আবহের মাঝেই দাপট বাড়ছে করোনার (Coronavirus)। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আতঙ্কও। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় করোনার প্রকোপ লাফিয়ে বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyandu Adhikari)। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে চেয়ে তিনি রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছেন। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে (Jagdeep Dhankhar) চিঠি লিখেছেন সাংসদ। অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।
ভোট শেষ হলেও কমেনি তাঁর কাজ। উলটে বেড়েছে। কোভিড আতঙ্ক উপেক্ষা করেই কখনও হলদিয়া, আবার কখনও তমলুকে ছুটছেন। করোনা আক্রান্তদের হাসপাতালে ভরতি করছেন। কাঁথিতে নিজের অফিসে বসেও বড়মা হাসপাতালে সংক্রমিতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করছেন দিব্যেন্দু অধিকারী। প্রকৃত পরিস্থিতি তিনিই সবচেয়ে ভাল বুঝতে পারছেন। রাজ্যপালকে লেখা চিঠিতে জেলার করোনা পরিস্থিতির কথা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরেছেন। প্রশ্ন উঠেছে, তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ না করে তিনি কেন সরাসরি রাজ্যপালকেই জানালেন এবং তাঁকে হস্তক্ষেপ করতে বললেন? এ নিয়ে দিব্যেন্দু উত্তর দিয়েছেন, “এখন তো নির্বাচন চলছে। রাজ্যে সরকারের প্রশাসনিক ক্ষমতা খুব সীমিত। সাংবিধানিক প্রধান হলেন রাজ্যপাল। স্বয়ং মুখ্যসচিবও নবান্নে বৈঠক করে ছুটে গিয়ে রাজ্যপালকেই রিপোর্ট করছেন। তাই জেলার মানুষের কথা জানিয়ে সাংবিধানিক প্রধানকেই চিঠি লিখেছি।”
[আরও পড়ুন: ৫ কিমি দূরে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র, প্রতিবাদে বিক্ষোভ অবরোধ, ভোট বয়কটের হুমকি বাগদায়]
রাজনৈতিক মহলের মত, তমলুকের তৃণমূল সাংসদের এই চিঠি নিয়ে এত সমালোচনার মূল কারণ, তাঁর দাদা শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগ দেওয়া। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে কেন্দ্রের প্রতিনিধির অ্যাখ্যা দিয়ে ইতিমধ্যে তৃণমূল তাঁকে ‘পদ্মপাল’ বলে থাকেন, যা নিয়ে বেজায় আপত্তি বিজেপির। অবশ্য দিব্যেন্দুর এই চিঠিকে তৃণমূল নেতারা গেরুয়া শিবিরকে তমলুকের সাংসদের পত্র-বার্তা বলে কটাক্ষ করেছেন। আর দিব্যেন্দু বলেছেন, “মানুষের জন্য কাজ করছি, কাউকে কোনও বার্তা নয়। সাধারণ মানুষের সেবা করার জন্য যখন যাঁকে মনে হবে, তাঁকেই অনুরোধ করব। কারণ, আমাকে ভোটে জিতিয়ে দায়িত্ব দিয়েছেন এই সাধারণ মানুষই। তাই মানুষের জন্য চিঠি।”