দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে রবিবার চুঁচুড়ায় হুগলি জেলা তৃণমূলের (TMC) নতুন কমিটি ঘোষণা করলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)।
গত ৫ অক্টোবর চুঁচুড়ায় জনসভার শেষে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা তৃণমূলের কমিটির ঘোষণা শুরু করার পরই কলকাতা থেকে একটি ফোন আসে। সেই ফোন পেয়ে কমিটি ঘোষণা তৎক্ষণাৎ স্থগিত করে দেন সাংসদ। এরপর থেকেই এই কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের অন্দরমহলে জল্পনা চলছিল। রবিবার সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে হুগলি জেলা তৃণমূলের নতুন কমিটি ঘোষণা করলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী বছর বিধানসভা ভোটের আগে এই নতুন কমিটিতে জায়গা পেয়েছে বহু নতুন মুখ।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার হার অনেক বেশি, চিন্তা বাড়াচ্ছে কলকাতার কোভিড গ্রাফ]
জেলায় তৃণমূল মাদারের ৩১টি ব্লক টাউনের মধ্যে ১৮ টিতেই সভাপতি পরিবর্তন করা হয়েছে। অন্যদিকে যুব তৃণমূলের অধিকাংশেরই বয়স ৪০ বছরের বেশি হয়ে যাওয়ায় অনেক ব্লক ও টাউনে সভাপতি পরিবর্তন করা হয়েছে। তৃণমূল মাদারের ধনেখালি, সিঙ্গুর, আরামবাগ, বলাগড় ব্লক-সহ কোন্নগর, তারকেশ্বর শহরের সভাপতি পরিবর্তন সেক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি নতুন এই জেলা কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের অন্দরমহলে তীব্র অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।
এই জেলা কমিটি ঘোষণার পরই রীতিমতো বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য্য। এমনকী দলত্যাগের হুমকিও দেন। তিনি তাঁর নিজের বাড়িতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “অবিলম্বে এই কমিটি যদি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করে কোনও পরিবর্তন না করে, তবে দল নিয়ে চিন্তা করে ভিন্ন দলে যেতে পারি কি না সেটা আমাদের ভেবে দেখতে হবে।” এই কমিটিকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ দানা বাঁধতেই আসরে নামেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ যাদব। তাঁর কথায়, “রবীন্দ্রনাথবাবুর কথা শুনেছি। ওঁর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলব এবং রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলব। সবটাই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।”