স্টাফ রিপোর্টার: ‘মার্কসীয় ও প্রগতিশীল সাহিত্য পড়ুন ও পড়ান।’ স্টলের সামনে জ্বলজ্বল করছে লেখা। তার সামনে ফুলের স্তবক হাতে দাঁড়িয়ে ডা. শান্তনু সেন (Dr Shantanu Sen), তৃণমূলের সাংসদ। দশমীর সকালে এমনই দৃশ্য ফ্রেমবন্দি হল কাশীপুর-বেলগাছিয়া এলাকার সিপিএম জোনাল কমিটির অফিসে ও গণশক্তির বুক স্টলে।
দশমীর সকালে কাশীপুর-বেলগাছিয়া এলাকায় যান শান্তনু সেন। সেখানেই ঘুরতে ঘুরতে পৌঁছে যান সিপিএম (CPIM) জোনাল কমিটির অফিসে। চলে যান গণশক্তির (Ganashakti) বুক স্টলেও। সেখানকার সিপিএম নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটান তিনি। একসময় যে এলাকার কাউন্সিলর ছিলেন তিনি সেই এলাকার হালহকিকত জানেন। চলে সৌজন্য বিনিময়ও। পরে শান্তনু বলেন, “কাছেই একটি মণ্ডপের পাশে আমাদের পার্টির মুখপত্র জাগো বাংলার স্টল রয়েছে। তারই কাছে সিপিএম (CPIM) পার্টি অফিস। সেখানেই তাদের স্টল। আমি গিয়েছিলাম সৌজন্য বিনিময় করতে। বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে।’’
[আরও পড়ুন: গরবা অনুষ্ঠানে পাথর ছোঁড়ার ‘শাস্তি’, অভিযুক্তদের প্রকাশ্যেই চাবুক মারল গুজরাট পুলিশ!]
শান্তনু আরও জানান, ‘‘একসময় এ জায়গাটা সিপিএমের ডেরা ছিল। ২০০১-এ আমি মার খেয়েছি ওদের হাতে। আমরা তো বদলা নিইনি। ওরা বহাল তবিয়তে স্টল করেছেন। যে অপপ্রচার করছে ওরা সে জায়গায় দাঁড়িয়ে আমি এটাই দেখাতে গেছিলাম যে, আমরা এভাবেই প্রত্যেকের সঙ্গে সৌজন্য রেখে চলি।’’ সপ্তমীর সন্ধ্যায় রাসবিহারীতে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর শান্তনুর এই সিপিএম অফিসে যাওয়াটা বাড়তি তাৎপর্য বহন করে।
[আরও পড়ুন: ফের মুকেশ আম্বানির গোটা পরিবারকে খুনের হুমকি, ফোন এল রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন হাসপাতালে]
উল্লেখ্য, সপ্তমীতে রাসবিহারীতে সিপিএমের বইয়ের স্টলে ‘হামলা’ চালানোর অভিযোগে অষ্টমীর বিকেলে প্রতিবাদ সভা ডেকেছিল সিপিএম। যা নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে যায়। অভিযোগ, সেই সভা করার সময়ই পুলিশ গ্রেপ্তার করে সিপিএম কলকাতা জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদার, পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়-সহ আরও অনেককে। ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন টালিউডের একাংশ। একাধিক স্টলে ‘তৃণমূল চোর’ লেখা স্লোগান লেখে সিপিএম। যার পালটা সিপিএমকে আক্রমণে নামে তৃণমূলও। তবে বিজয়ার দিন সেসব তিক্ততা ভুলে সৌজন্য দেখালেন শান্তনু।