নন্দন দত্ত, বীরভূম: রেলের ব্যর্থতা ও কেন্দ্রের দ্বিচারিতার প্রতিবাদে অবস্থানে বীরভূমের দুই সাংসদ, সব বিধায়ক, জেলা সভাধিপতি থেকে শহরের কাউন্সিলর ও তৃণমূল কর্মীরা। তাঁদের একটাই কথা, সেতু নির্মাণে সাতবছর টালবাহানা করেছে রেল। কবে সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে তা জানাতে হবে অবিলম্বে।
সিউড়ি-বোলপুরের ব্যস্ততম রাস্তার উপর হাটজন বাজারে রেলের ওভারব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হয় সাত বছর আগে। ২০১৭ থেকে তা ঢিমেতালে চলছে। একইসঙ্গে বরাত পাওয়া বর্ধমানের ওভারব্রিজ চার বছর আগে উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে। অথচ নানান টালবাহানায় সিউড়িতে আটকে রয়েছে কাজ। এরই প্রতিবাদে এই অবস্থান। এদিন প্রতিবাদ সভায় কাউন্সিলদের সঙ্গেই মাটিতে বসে পড়েন রেলের কেন্দ্রীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য শতাব্দী রায়। তিনি বলেন, “২০১৭ সাল থেকে চিঠি দিচ্ছি। সংসদে দাবি জানাচ্ছি। রেলমন্ত্রীর কাছে দরবার করছি। শুধু প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছু মিলছে না।”
[আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তের জেরে ফের বঙ্গে দুর্যোগের আশঙ্কা, কী জানাচ্ছে হাওয়া অফিস?]
গত মাসে সিউড়িতে পুরপ্রধানের শপথের দিনেই রেল রোকো এবং অবস্থানের ডাক দেন শতাব্দী রায়। ঘটনায় ঘৃতাহুতি পরে চারদিন আগেই বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা সিউড়িতে বিধানসভা ভোটে হেরে যাওয়া জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের পোস্টে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি কাজের ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে জানান, রেলব্রিজের কাজ পুজোর আগেই শুরু হবে। তার আবেদনেই দল নাকি এই ছাড়পত্র দিয়েছে বলে মঙ্গলবার সিউড়ি জুড়ে স্ট্রির্ট কর্ণার করে প্রচার করে বিজেপি।
এ প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি দীপক দাস বলেন, “যখন তৃণমূল অবরোধ করছে তখন পাশেই বরাত পাওয়া সংস্থা কাজের সার্ভে শুরু করে দিয়েছে। তৃণমূল সেতু নিয়ে নতুন নাটক করছে।”