নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: লক্ষ্য ২০২৪। ত্রিপুরা, গোয়া, মেঘালয়ের পর হরিয়ানার বুকে জমি শক্ত করছে তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবারই হরিয়ানায় প্রথমবার দলীয় কার্যালয় খুলল এরাজ্যের শাসকদল। উদ্বোধন করলেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা হরিয়ানায় দলের পর্যবেক্ষক সুখেন্দুশেখর রায়। উপস্থিত ছিলেন হরিয়ানায় তৃণমূলের প্রধান মুখ তথা প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা অশোক তানওয়ার-সহ তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা। হরিয়ানায় দলের যাত্রার সূচনার জন্য আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
সূত্রের খবর, গুরুগ্রামের এই পার্টি অফিসটিই আপাতত রাজ্যে তৃণমূলের (TMC) সদর দপ্তর হিসেবে ব্যবহার করা হবে। এরপর সেরাজ্যের বাইশটি জেলাতেই একটি করে জেলা পার্টি অফিস খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দলের তরফে। আসলে, চব্বিশের লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে সেরাজ্যে দ্রুত সাংগঠনিক শক্তি বাড়িয়ে নিতে চাইছে তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: হাজারো যুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, বহু সম্মানে সম্মানিত যোদ্ধা পরিবারের সন্তান বিপিন রাওয়াত]
শুধু দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন নয়। বুধবার হরিয়ানায় তৃণমূলের শক্তিও বেড়েছে। এদিন বিভিন্ন দল থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন অন্তত শ’পাঁচেক কর্মী। আগামী দিনে আরও বহু কর্মী তৃণমূলে যোগ দেবেন বলে দাবি করেছে ঘাসফুল শিবিরের স্থানীয় নেতৃত্ব। এদিন দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধনের মঞ্চে কর্মীদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। আসলে হরিয়ানার রাজনীতিতে অশোক তানওয়ার বেশ পরিচিত মুখ। কংগ্রেসে (Congress) থাকাকালীন গোটা রাজ্যে ঘুরে ঘুরে কাজ করেছেন। একটা সময় প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতিও ছিলেন। অশোক তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই ঘাসফুল শিবিরের শক্তি সেরাজ্যে বাড়তে শুরু করেছে। আগামী দিনে রাজ্যে বিজেপির (BJP) চ্যালেঞ্জার হয়ে ওঠাটাই প্রাথমিক লক্ষ্য ঘাসফুল শিবিরের।
[আরও পড়ুন: CDS Bipin Rawat: বিপিন রাওয়াতের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ দেশ, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির]
বস্তুত, রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ধরাশায়ী করার পর কেন্দ্র থেকে গেরুয়া শিবিরকে উৎখাত করার লক্ষ্যে জাতীয় স্তরে শক্তি বাড়াচ্ছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই বাংলার বাইরে একাধিক রাজ্যে অনেকটাই মজবুত হয়েছে তৃণমূলের সংগঠন। এবার হরিয়ানাতেও দ্রুততার সঙ্গে উঠে আসছে এরাজ্যের শাসকদল।