সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরানো হল কুণাল ঘোষকে। বুধবার রাজ্যের শাসকদলের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) একাধিক 'মতামত' দিয়েছেন। যা দলের অবস্থানের পরিপন্থী।
বুধবারই আমহার্স্ট স্ট্রিটে এক রক্তদান অনুষ্ঠানে গিয়ে বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন কুণাল। তিনি বলেন, প্রার্থী বা জনপ্রতিনিধি হিসাবে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Sudip Banerjee) থেকে পিছিয়ে নেই তাপস। তাঁর দরজা সারা দিন সারা রাত দলের কর্মী এবং সাধারণ মানুষের জন্য খোলা থাকে। ঘটনাচক্রে সেই মন্তব্য করার কয়েক ঘণ্টা পরই তৃণমূলের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলে দেওয়া হল, কুণালকে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরানো হয়েছে। তাঁর মন্তব্য দলের অবস্থান নয়।
[আরও পড়ুন: নিউজক্লিকের এডিটরের লস্কর যোগ! ৮০০ পাতার চার্জশিট পেশ দিল্লি পুলিশের]
তৃণমূলের (TMC) ওই বিবৃতিতে কড়া ভাষায় বলে দেওয়া হয়েছে, "সাম্প্রতিক কালে কুণাল ঘোষের একাধিক মতামত অবস্থানের পরিপন্থী। এটা স্পষ্ট করে দেওয়া দরকার ওই মন্তব্যগুলি কুণালের নিজস্ব। সেগুলিকে যেন তৃণমূলের মতামত মনে না করা হয়। শুধুমাত্র তৃণমূলের সদর দপ্তর থেকে যে মন্তব্য করা হচ্ছে সেগুলিই দলের বক্তব্য।" তৃণমূলের বিবৃতিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, "কুণাল ঘোষকে আগেই দলের মুখপাত্র পদ থেকে সরানো হয়েছিল। এবার তাঁকে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ থেকেও সরানো হল। তাঁর মতামতকে যেন দলের অবস্থান বলে প্রচার না করা হয়। সেটা করা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" যদিও কুণাল ঘোষ মাস দুয়েক আগেই দলের মুখপাত্র এবং রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। সেসময় দলের তরফে সরকারিভাবে তাঁর ইস্তফা নিয়ে মতামত জানানো হয়নি। এবার দল তাঁকে সরানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল।
[আরও পড়ুন: কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনে ভয়ংকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া! আক্রান্তদের সমবেদনা জানাল সংস্থা]
এদিকে কুণালের অপসারণ নিয়ে এদিন মুখ খুলেছেন উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে তাঁর বক্তব্য, "কুণাল ঠিক কথাই বলেছে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বোধ হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে কান্নাকাটি করেছে। তাই কুণালকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। আশ্চর্যজনকভাবে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও অভিযোগ করলে সেটা শোনা হয়। সুদীপের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ শোনা হয় না। অথচ উত্তর কলকাতায় খুঁজলে বহু সুদীপ বিরোধী পাওয়া যাবে।" তাপস রায়ের দাবি, "কুণাল যখন জেলে ছিলেন, তখন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় রোজ সকালে বাড়িতে বসে খ্যাক খ্যাক করে হাসত।"