সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র (Kailash Vijayvargiya) বিরুদ্ধে তৃণমূলের নতুন হাতিয়ার এবার তাঁর নারীবিদ্বেষী মনোভাব। এ নিয়ে ফের টুইট যুদ্ধে ঝাঁপাল তৃণমূলের মহিলা সংগঠন। চলতি সপ্তাহে বীরভূম সফরে বোলপুরের এক আদিবাসী গ্রামে গিয়ে ছোট হোটেলে চা খেতে ঢুকে রান্না করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। কড়াইয়ে পাঁচমিশালি তরকারি নেড়েচেড়ে দেওয়ার পাশাপাশি জানিয়েছিলেন তাঁর রান্নার অভিজ্ঞতা। দিয়েছিলেন রান্নায় স্বাদ বাড়ানোর টিপসও। এরপরই বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় সেই ছবি দিয়ে টুইট করে লেখেন – ”যে কাজ ৫ মাস পরই করতে হবে, দিদি সেই কাজ এখনই করছেন।” এরই পালটা জবাবে কাকলি ঘোষ দস্তিদার, শশী পাঁজারা তাঁকে ‘নারীবিদ্বেষী’ বলে তোপ দাগলেন।
কৈলাসের এই টুইটের অন্তর্নিহিত বার্তা কী ছিল, রাজনৈতিক সচেতন মানুষমাত্র তা বুঝতে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। রাজ্যের শাসনক্ষমতায় কারা আসছে, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে আগামী পাঁচ মাসের মধ্যে। বোঝা যাবে, সরকারে তৃণমূলই থাকবে নাকি বিজেপি আসবে। আর যদি তৃণমূল ক্ষমতা থেকে সরে যায়, তাহলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজ হবে রান্না করা। তাই তাঁকে বোলপুরের হোটেলে রান্না করতে দেখে কৈলাস বিজয়বর্গীয় টুইট করে স্পষ্টই এই খোঁচা দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: বিলাসবহুল জীবনে বাধা নাকি মানসিক অসুস্থতা? কেন বাবাকে ‘খুন’ করল যাদবপুরের যুবক?]
এবার তারই জবাবে পালটা কড়া ভাষায় টুইট করলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। সাংসদের টুইট,
“আপনি যদি মহিলা হয়ে রাজনীতিতে আসার কথা ভাবেন, তাহলে মনে রাখবেন বিজেপির নারীবিদ্বেষীরা ছড়িয়ে রয়েছে এই ক্ষেত্রে, যাঁরা মহিলাদের রান্নাঘরেই আটকে রাখতে চান। কৈলাস বিজয়বর্গীয় যে মহিলাদের এতটুকুও শ্রদ্ধা করেন না, তা বোঝা গেল। তাঁর পরিবারের মহিলারাও নিশ্চয়ই এসবের মুখোমুখি হয়ে থাকেন।”
প্রায় একই সুর শশী পাঁজার। তিনি টুইটে লেখেন, ”বিজেপি ওদের নিজেদের আসল রং আবারও দেখাল। দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে এইই তাঁদের মনোভাব। এরপর আর সন্দেহের অবকাশই নেই যে আমাদের দেশের মহিলারা বিজেপি আমলে মোটেই সুরক্ষিত নয়। এ ধরনের নারীবিদ্বেষী মন্তব্য আবারও করার আগে মনে রাখবেন, আপনাদের বস কিন্তু একজন চা-ওয়ালা।”
এর আগে তৃণমূলের তারকা সাংসদ নুসরত জাহানও এ নিয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র প্রতি আক্রমণ শানিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি এ ধরনের মনোভাব পোষণ করা মানে দেশের প্রত্যেক মহিলা, যাঁরা রান্না করেন, খাবার বেড়ে দেন, তাঁদের সকলকে অপমান করা।