সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন এক অগ্নিবীর। শ্রীকান্তকুমার চৌধুরিকে এয়ার ফোর্স স্টেশনের টেকনিক্যাল এলাকায় পাহারার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। রাত দেড়টা নাগাদ নিজের ইনসাস থেকে গুলি চালিয়ে তিনি আত্মঘাতী হন। তাঁর বয়স ২২ বছর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বিমান বাহিনী অফিসার ও জওয়ানরা। পরে শাহগঞ্জ থানার পুলিশও ঘটনাস্থলে যায়। তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। ফলে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করলেন, তা নিয়ে কোনও প্রাথমিক ধারণা করতে পারেনি পুলিশ।
তবে অগ্নিবীর প্রকল্প নিয়ে সাম্প্রতিক চাপানউতোরের মধ্যে কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের দাবি, কেন্দ্রের ভ্রান্ত নীতি ও ত্রুটিপূর্ণ প্রকল্পের জেরে আরও একটি তাজা প্রাণ ঝরে গেল। এক্স হ্যান্ডলে তৃণমূলের তরফে লেখা হয়েছে, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আপনার হাতে রক্ত লেগে রয়েছে। আগ্রা এয়ার ফোর্স স্টেশনে ২২ বছর বয়সি ওই যুবকের আত্মহত্যা হল বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের অগ্নিবীর প্রকল্পে অবহেলার ফল। এই প্রকল্পের মাধ্যমে যেভাবে যথাযথ প্রশিক্ষণ ছাড়াই একদল তরুণকে সেনাবাহিনীর কাজে লাগানো হচ্ছে, আমরা শুরু থেকেই তার প্রতিবাদ করেছি। যে অগ্নিবীর আত্মঘাতী হলেন, সেনার কাজ করার জন্য আদৌ কি সঠিক প্রশিক্ষণ পেয়েছিলেন তিনি? রোজগেরে সন্তানহারা পরিবারটির এবার কী হবে? প্রধানমন্ত্রী মোদি বা তাঁর সরকারের কাছে কি এর যুক্তিগ্রাহ্য কোনও জবাব আছে?"
[আরও পড়ুন: ভাঙড় থানার ঢিল ছোড়া দূরে ‘গণপিটুনি’, মৃত্যু যুবকের]
শ্রীকান্ত মূলত উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলার বাসিন্দা। তাঁর বাড়ি পাচারুকিয়া গ্রামে। দেড় বছর আগে অগ্নিবীর স্কিমের মাধ্যমে বায়ুসেনায় যোগ দিয়েছিলেন এবং সব কিছু স্বাভাবিক ছিল। এখানে পোস্ট করা হয়েছিল ৬ মাস আগে এবং তিনি ৩ জুন ছুটিতে বাড়িতে আসেন। ১০ দিনের ছুটি কাটিয়ে তিনি ডিউটিতে ফিরেছিলেন। ১৩ জুন শ্রীকান্ত এয়ারফোর্স স্টেশনে ডিউটিতে যোগ দেন। আগ্রা এয়ার ফোর্স স্টেশনে এটি দ্বিতীয় আত্মহত্যার ঘটনা। ২০১৯ সালে মোরাদাবাদের বাসিন্দা স্কোয়াড্রন লিডার হিমাংশু সিং গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন।