রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ত্রিপুরার (Tripura) অশান্তির আঁচ এবার কলকাতায়। তৃণমূল যুব নেত্রী সায়নী ঘোষের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে মুরলীধর সেন লেনে বিক্ষোভে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। পালটা পতাকা হাতে বিক্ষোভে বিজেপিও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাস্থলে প্রচুর পুলিশ।
যুব তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষের গ্রেপ্তারিকে কেন্দ্র করে উত্তাল ত্রিপুরা। পড়শি রাজ্যে পৌঁছেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেখানে রয়েছেন ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষরা। সেই গ্রেপ্তারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার উত্তপ্ত কলকাতা। সোমবার সকালে মুরলীধর সেন লেনে রাজ্য বিজেপিরর দপ্তরের সামনে জড়ো হন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
[আরও পড়ুন: KMC Election: কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার নির্বাচন নিয়ে সোমবার সর্বদল বৈঠকে রাজ্য নির্বাচন কমিশন]
বিজেপি দপ্তরের দরজায় আটকে দেওয়া হয় পোস্টার। ঘটনাকে কেন্দ্র তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বিজেপির তরফে খবর দেওয়া হয় পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের হটানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। তাঁদের সামনেই চলে বিক্ষোভ। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও চলছে বিক্ষোভ। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছবেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এই বিক্ষোভের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “ত্রিপুরার ঘটনা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির রাজ্য দপ্তরের সামনে তামাশা করা হচ্ছে। সুস্থ গণতন্ত্রে এটা কাম্য নয়। ও রাজ্যে কী হয়েছে, তার প্রভাব কোনওভাবেই এই রাজ্যে পড়তে পারে না।” উল্লেখ্য, শনিবার ত্রিপুরার চৌমুহনীতে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সভার উদ্দেশে ‘খেলা হবে’ স্লোগান দেন সায়নী ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে কটু মন্তব্যও করেন বলে অভিযোগ। যার জেরে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তপ্ত হয়ে রয়েছে ত্রিপুরা।