shono
Advertisement

Breaking News

‘ফতোয়া’য় পরোয়া নেই, মেঘালয়ের নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ তৃণমূল সাংসদদের

গারো ও খাসি ভাষার স্বীকৃতির দাবিতে ধরনা।
Posted: 11:41 AM Jul 26, 2022Updated: 02:06 PM Jul 26, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: বাদল অধিবেশনের আগে সংসদ চত্বরে ধরনা, বিক্ষোভ কর্মসূচি করা যাবে না বলে কার্যত ‘ফতোয়া’ জারি করা হয়েছিল। কিন্তু বিরোধীরা হেলায় তা উড়িয়েছেন। সংসদ অধিবেশনের শুরুর দিনই নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর উপর জিএসটি (GST) বসানোর প্রতিবাদে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন সাংসদরা। আর আজ, মঙ্গলবার প্রতিবাদে শামিল তৃণমূল (TMC)। মেঘালয়ের দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে তাঁদের দাবিতে সোচ্চার হলেন বাংলার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র, শান্তনু সেনরা। তাঁদের বিক্ষোভ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অবশ্য পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয়। তবে তার মোকাবিলা করেই এগিয়ে যান সাংসদরা। সকলের হাতে ছিল পোস্টার। তাতে গারো ও খাসি ভাষাকে অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভূক্ত করে স্বীকৃতির দাবিতে সরব হন মুকুল সাংমারা।

Advertisement

বাংলার বাইরে একাধিক রাজ্যে প্রভাব বিস্তার করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দল। বিশেষত তাঁদের নজরে উত্তর-পূর্ব ভারতের অবহেলিত ছোট রাজ্যগুলি। অসম, ত্রিপুরায় ইতিমধ্যেই তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় রয়েছে। সেখানকার সংগঠনের ভিতও তৈরি। ত্রিপুরায় সেই ভিত আরও মজবুত করতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বারবার ছুটে গিয়েছেন। মেঘালয়ে একসঙ্গে বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা, বিধায়ক কংগ্রেস ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে সংসদে নিজেদের সর্বভারতীয় চরিত্র সুস্পষ্ট করা লক্ষ্য ছিল তৃণমূলের।

[আরও পড়ুন: উন্নয়ন করতে গেলেই বাধা দেয় বিরোধীরা! কংগ্রেসকে বিঁধে বার্তা মোদির]

তাই সংসদের বাদল অধিবেশনে ধরনা, বিক্ষোভ কর্মসূচির উপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে, তার বিরোধিতার জন্য সেই সর্বভারতীয় চরিত্রকে সামনে আনতে চেয়েছে ঘাসফুল শিবির। তাই মেঘালয়বাসীর দাবিদাওয়ার কথা তুলে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। মেঘালয়ের গারো ও খাসি ভাষার স্বীকৃতির দাবিতে একযোগে সরব মুকুল সাংমা, মহুয়া মৈত্ররা। অসম-মেঘালয় সীমানা চুক্তি বাতিল নিয়েও কেন্দ্রের কাছে মেঘালয়ের নেতারা দাবি তুলেছেন। সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে মুকুল সাংমা বললেন, ”দীর্ঘদিন ধরে নানা সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত মেঘালয়বাসী। অনেক কিছু আটকে রাখা হয়েছে। আমাদের দাবিগুলো এবার পূরণ করতে হবে কেন্দ্রকে। সেই বার্তাই দিতে এসেছি।”

[আরও পড়ুন: এবার মেট্রো স্টেশনে দাঁড়িয়েই চায়ে চুমুক, খুলছে নতুন দোকান]

পোস্টার হাতে বিক্ষোভে শামিল সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও ব্রায়েন, মালা রায়, অপরূপা পোদ্দাররা। যদিও মিছিলের সময় তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। সেই বাধা পেরিয়ে সংসদ ভবনে পৌঁছন তৃণমূল সাংসদরা। অর্থাৎ  বিরোধীরা যে সংসদ চত্বরে ধরনা, প্রতিবাদের পরিবেশ জারি রাখবেই, তা অনেকটাই স্পষ্ট। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement