সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইভিএম-এর বদলে নির্বাচনে ব্যালট ব্যবহারের দাবিতে ফের সরব তৃণমূল। সোমবার সকালে সংসদের বাইরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে সমবেত হন তৃণমূল সাংসদরা। তাঁদের বুকে ঝোলানো পোস্টারে লেখা ছিল, “ইভিএম নয়, আমরা ব্যালট চাই।” রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়ানের নেতৃত্বে ব্যালটে দাবিতে স্লোগান দেন তাঁরা। শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় স্লোগান তুলতে থাকেন, “ইভিএম হ্যাকিং বন্ধ করতে ব্যালট আনা হোক।” তাঁর সঙ্গে গলা মেলান সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, মালা রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সৌগত রায় ও দোলা সেন-সহ অন্য সাংসদরা।
[আরও পড়ুন- বালাকোটের বদলার ছক! পাকিস্তানের লুকোনো সাবমেরিনের খোঁজ পেল ভারত]
লোকসভা নির্বাচনের আগেই ইভিএম মেশিন নিয়ে তাঁর আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, ফলাফলের পর আর রিগিং বা ইভিএম মেশিন হ্যাকিং-এর কথা বলেননি। বরং জনতার রায়কে মেনে নেওয়ার কথাই বলেছিলেন।কিন্তু, দলের কোর কমিটির বৈঠকের পর পরবর্তী নির্বাচনগুলি ইভিএম-এর পরিবর্তে ব্যালটে করার দাবি তোলা হয়। পুরনো পদ্ধতিতেই নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যজুড়ে এবিষয়ে প্রচার চালানো হবে বলেও ঘোষণা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে এই দাবিকে তুলে ধরার দায়িত্ব দেওয়া হয় শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে এই বিষয়ে দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, লোকসভা নির্বাচনে ব্যবহার হওয়া ইভিএম মেশিনগুলির মধ্যে মাত্র ২ শতাংশ পরীক্ষা করেছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু, বাকি ৯৮ শতাংশ ইভিএম পরীক্ষা না করেই ব্যবহার করা হয়। তিনি বলেন, “পরবর্তী নির্বাচনগুলিতে ইভিএম নয়, ব্যালট চাই। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে আমরা এই আওয়াজ তুলব। আর তা শুরু হবে বাংলা থেকে।” তবে শুধু তৃণমূলই নয়, কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধী দলগুলিও ফলাফলের পর ইভিএম সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে তাদের আপত্তির কথা কমিশনকে জানিয়েছে।
[আরও পড়ুন- মেয়াদ শেষের আগেই পদত্যাগ করলেন রিজার্ভ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্য]
যদিও বিজেপির দাবি, ইভিএম-এর বিষয়ে বিরোধীদের অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই। এই ধরনের বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে মানুষের রায়কেই অপমান করছে তারা।
The post “ইভিএম নয়, ব্যালট চাই”, সংসদের বাইরে পোস্টার ঝুলিয়ে বিক্ষোভ তৃণমূল সাংসদদের appeared first on Sangbad Pratidin.