কিংশুক প্রামাণিক: বিজেপির বিকল্প তৃণমূল-ই। অন্য কেউ ঘাসফুল শিবিরকে সমর্থন করতে চাইলে করতেই পারে। কিন্তু নেতৃত্ব থাকবে তৃণমূলের হাতেই। সোমবার গোয়ার কর্মিসভা থেকে এটা স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পাশাপাশি এদিনের ‘এডিটর’স মিট’ থেকে জানিয়ে দিলেন, কীভাবে সাজানো হবে গোয়াকে, তা পরিকল্পনা করেই এগোনো হবে।
তিনদিনের সফরে গোয়া (TMC in Goa) গিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে রয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং গোয়ার ভারপ্রাপ্ত নেতা-নেত্রীরা। তিনদিনই ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূল নেত্রীর। এদিন সকালে গোয়া চলচ্চিত্র উৎসবে হাজির হন মমতা। সেখানে সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক সারেন তিনি। তার পরই কর্মিসভায় যোগ দেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
[আরও পড়ুন: Omicron: টিকার কার্যকারিতা অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে ‘ওমিক্রন’, দাবি WHO’র]
সেই কর্মিসভা থেকে মমতার বার্তা, “আমরা এখানে বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগাভাগি করতে আসিনি। বিজেপি বিরোধী ভোট একসঙ্গে করতে এসেছি।” সে রাজ্যের একাধিক দল তৃণমূলের সঙ্গে জোট বাঁধার প্রস্তাব দিয়েছে। আবার গোয়ায় তৃণমূলের সংগঠন বৃদ্ধিকে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস। এদিন নাম না করেই কংগ্রেসকেও বার্তা দেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, “আর কেউ বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করে না। লড়াইটা করছি আমরাই। অন্যরা কেউ আমাদের সমর্থন করতে চাইলে স্বাগত। কিন্তু আপনাদের কথা শুনে বিজেপির সঙ্গে আধা-আন্ডারস্ট্যান্ডিং করতে পারব না।”
এদিন তৃণমূলনেত্রী বুঝিয়ে দিলেন, বিজেপি বিরোধিতায় অন্য কোনও দল তৃণমূলকে সমর্থন করতেই পারে, কিন্তু নেতৃত্ব থাকবে ঘাসফুল শিবিরের হাতেই। তৃণমূল নেত্রীর কথায়, “আমরা এখানে জিততে এসেছি। অন্য দল বিজেপির বিরোধী লড়াই করতে পারলে আমরা এখানে আসতাম না। কিন্তু কেউ লড়াই করতে পারে না।” কংগ্রেসের উদ্দেশে তৃণমূল নেত্রীর বার্তা, আপনারা আমাদের রাজ্যের সব ভোটে লড়াই করছেন। তখন কোনও সমস্যা হয় না? আমরাও তাই ভাবলাম এখানে লড়াই করি।”
[আরও পড়ুন: মাঝরাতে ফাঁকা গলি থেকে প্রায় অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার তরুণী, ধূপগুড়িতে ঘনাল রহস্য]
একই কথা শোনা গেল দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও। বললেন, “আমরা এখানে ২-৪টে আসন জিততে আসিনি। গোয়ায় সরকার গড়তে এসেছি।”