ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। সব কিছু ঠিকঠাক চললে তৃণমূলের (TMC) শীর্ষনেতৃত্ব তা ঘোষণা করে দেবে দ্রুত। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে লড়বে তৃণমূল। তবে ৪০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ক’টিতে তারা প্রার্থী দেবে তা চূড়ান্ত হবে আর ক’দিনেই। দলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ ব্রায়েন (Derek O’ Brien) সে কথা স্বীকারও করেছেন।
গত কয়েক সপ্তাহে গোয়ায় দফায় দফায় গিয়ে সেখানে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন তৃণমূলের শীর্ষনেতারা। নাম করা একের পর এক খেলোয়াড় যেমন আছেন সেই তালিকায়, রয়েছেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী-সংগীত শিল্পীরা। সম্প্রতি তাঁদেরই মধ্যে বিখ্যাত গায়ক লাকি আলি ও প্রাক্তন সাঁতারু তথা অভিনেত্রী নাফিসা আলির (Nafisa Ali) সঙ্গে দেখা করেন ডেরেক ও’ ব্রায়েন। গোয়া নিয়ে দলের পরিকল্পনার কথা জানান তাঁদের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনিতেই ভীষণ পছন্দের নাফিসার। ভবানীপুরের ভোটের (Bhabanipur Bypoll) ফল বেরনোর পর ‘বেঙ্গল টাইগ্রেস’ বলে উল্লেখ করে শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁর ছবিও নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে শেয়ার করেছেন। তৃণমূলের গোয়ার ভোটে লড়ার সিদ্ধান্তকেও স্বাগত জানিয়েছেন নাফিসা ও লাকি আলিরা (Lucky Ali) । নাফিসা লিখেছেন, ‘আমি খুশি যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস গোয়া নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গোয়ার উন্নয়নে বিশেষ নজর দেওয়া দরকার। এখানকার মানুষের এটা অধিকার।’
[আরও পড়ুন: ‘স্বচ্ছ ভারতে’ ব্যস্ত কোল ইন্ডিয়া, বিদেশে অতিরিক্ত দাম, কয়লা সংকটের জন্য দায়ী ভ্রান্ত নীতিই!]
গত চার মাসে গোয়ায় পড়ে থেকে গ্রাউন্ড রিপোর্ট নিয়ে এসেছে আই প্যাক। তৃণমূলের দাবি, সে রাজ্যে বিজেপি-বিরোধী হাওয়া রয়েছে। তার ভিত্তিতে তৃণমূলের শীর্ষনেতারা দফায় দফায় গোয়ায় যাতায়াত করছেন। সে রাজ্যে তৃণমূলের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে এমন রিপোর্ট পাওয়ার পরই সেখানে পাঠানো হয়েছে সুখেন্দুশেখর রায়, ডেরেক ও’ ব্রায়েন, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ও মনোজ তিওয়ারিদের। সম্প্রতি গিয়েছেন বিধায়ক অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী (Soham Chakraborty)। ভিন্ন এলাকায় ঘুরে যুব সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলছেন। তাঁদের মনোভাব বোঝার চেষ্টা চলছে। গোয়ায় বিজেপি-বিরোধী হাওয়াকে সেখানে তৃণমূলের পালে বইয়ে দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে দলে আলোচনা চলছে। সেই পর্বের বড় চমক ছিল সেখানকার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরোর তৃণমূলে যোগদান।
[আরও পড়ুন: ‘আপনিই সারা বিশ্বের অনুপ্রেরণা’, ভারতে এসে মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী]
দলের শীর্ষনেতৃত্বের দাবি, স্থানীয় গোয়ানিজরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দলকে তাঁদের রাজ্যের নেতৃত্বে দেখতে চাইছে। সেখানে পরিবর্তন চাইছে। সেই সুবাদে কথা হয়েছে সালগাঁওকারের প্রাক্তন গোলকিপার-সহ সেখানকার প্রাক্তন বড় ফুটবলারদের সঙ্গেও। সূত্রের খবর, তাঁদের মধ্যে অন্যতম বড় নাম ব্রুনো কুটিনহো। তবে সবটা চূড়ান্ত করে বড় ঘোষণা করবে তৃণমূল।