বিশেষ সংবাদদাতা: সর্বভারতীয় সভানেত্রী নির্বাচনের পর জাতীয় স্তরের কর্মসমিতি এবং পদাধিকারী নিয়োগ শেষ। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর, এবার রাজ্য কমিটি ঢেলে সাজানোর পালা। দোলের আগেই নতুন রাজ্য কমিটি এবং সম্পাদকমণ্ডলী নিযুক্ত হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ইতিমধ্যেই এই কাজে হাত দিয়েছেন।
সূত্রটি আরও জানাচ্ছে, মূল সংগঠনের কমিটি গঠনের পাশাপাশি শাখা সংগঠনগুলিতেও কিছু রদবদল আনার কথা ভাবছেন তিনি। দুটি শাখা সংগঠনে বড়সড় রদবদলের ভাবনাচিন্তা আছে তাঁর। রাজ্য কমিটি হওয়ার পর পর্যায়ক্রমে জেলা ও ব্লক কমিটিগুলি হবে। নেত্রী এবিষয়ে প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
[আরও পড়ুন: দেশকে আবর্জনামুক্ত করতে বড় পদক্ষেপ, ‘গোবর-ধন’-এর উদ্বোধন মোদির]
সূত্রটি বলছে, জাতীয় স্তরের কমিটিতে যেমন সিনিয়র-জুনিয়র ভারসাম্য রেখেছেন নেত্রী, তেমনই রাজ্য কমিটিতেও বর্ষীয়ানদের সঙ্গে তুলনামূলক তারুণ্যের হাওয়া থাকবে। জাতীয় স্তরের পদগুলি ঘোষণার পর তৃণমূলে (TMC) বেশ স্বস্তি ও খুশির হাওয়া। মমতা সভানেত্রী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সাধারণ সম্পাদক, এই জুটি বাকিদের সঙ্গে নিয়ে সিনিয়র-জুনিয়র সব প্রজন্মকে মিলিয়ে তৃণমূলকে আরও শক্তিশালী করবেন বলে দলের সর্বস্তরে আত্মবিশ্বাস বাড়ছে।
[আরও পড়ুন: পাঞ্জাবের ১১৭ আসনে চলছে ভোটগ্রহণ, উত্তরপ্রদেশে কড়া পরীক্ষার মুখে অখিলেশ]
এই পরিস্থিতিতে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই দলের রাজ্য কমিটি ও শাখা সংগঠনগুলি পুরোপুরি সাজিয়ে নিতে চান নেতৃত্ব। সব ঠিকঠাক থাকলে দোলের আগেই এই কাজ সম্পূর্ণ করবেন নেত্রী। আপাতত দলের সব নেতা আসন্ন ১০৮টি পুরভোটের প্রচারে নেমেছেন। জেলায় জেলায় ঘুরছেন শীর্ষনেতৃত্ব। দল এবং শাখা ও গণসংগঠনগুলিকে ঐক্যবদ্ধভাবে ভোটের কাজে লাগানো হচ্ছে। পুরভোটের পর্ব মেটার পর নতুন কমিটি গঠনের কাজ গতি পাবে বলে দলীয় সূত্রে খবর। এবার বিভিন্ন পেশাভিত্তিক সেলগুলিকেও আরও বেশি সক্রিয় করতে চাইছে তৃণমূল। একদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতিগুলির বিরুদ্ধে আন্দোলন, অন্যদিকে বুথভিত্তিক সংগঠন আরও দৃঢ় করা, এবং রাজ্য সরকারের স্কিমগুলির সুফল ১০০% পরিবারে পৌঁছে দেওয়া, মূলত এগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।