ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: সর্বভারতীয় স্তরে আরও বাড়ল বাংলার শাসকদল। দক্ষিণ ভারতেও নিজের অস্তিত্ব জানান দিল ঘাসফুল শিবির। নতুন বছরের শুরুতে কেরলের বিধায়ক তথা প্রাক্তন সিপিএম নেতা পিভি আনভার যোগ দিলেন তৃণমূলে। শুক্রবার দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তিনি যোগ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে। সোশাল মিডিয়ায় আনভার জানালেন, মমতার কর্মকাণ্ডে অনুপ্রাণিত হয়েই তিনি তৃণমূলে যোগ দিলেন। পাশাপাশি, কেরলের বামপন্থী সরকারের বিরুদ্ধে শক্তি বৃদ্ধিও তৃণমূলে যোগদানের কারণ বলে জানান তিনি। এদিন আনভারকে উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেরলের রাজনৈতিক অন্দরে পরিচিত মুখ পিভি আনভার শুরুতে সিপিএমেই ছিলেন। ভোটে জিতে বিধায়কও হন। তারপর পিনারাই বিজয়নের সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতি নিয়ে সরব হন তিনি। আর তাতেই শাসকদলের রোষানলে পড়েন। বিজয়ন সরকার তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে। এরপর নীলাম্বুর কেন্দ্র থেকে নির্দল হিসেবে ভোটে লড়ে জেতেন। শোনা যায়, কেরলের কমিউনিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন আরও জোরদার করতে গত বছর থেকেই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন পিভি আনভার। নতুন বছরে তাঁর সেই ইচ্ছা পূরণ হল। এখন থেকে তাঁর নতুন পরিচয় কেরলের একমাত্র তৃণমূল নেতা হিসেবে। আনভার যোগ দেওয়ায় দক্ষিণ ভারতের দীর্ঘ বামশাসিত রাজ্যে ঘাসফুলে নিজের অস্তিত্ব ফুটিয়ে তুলল।
আনভারের যোগদান নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ''এবার দেশের মানুষের কল্যাণে আরও ভালোভাবে কাজ করতে পারব আমরা।'' উল্লেখ্য, এর আগে উত্তর-পূ্র্ব ভারতে অসম, মেঘালয়ে শাখা বিস্তার করেছে বাংলার শাসকদল। গোয়া, উত্তরপ্রদেশেও নির্বাচনে লড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধিরা। এবার পিভি আনভারের হাত ধরে কেরলেও তৃণমূলে লড়াইয়ের সম্ভাবনা বাড়ল।