নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক স্থায়ী কমিটি থেকে সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে স্থানান্তরিত করে অন্য কোনও কমিটিতে রাখার আর্জি জানিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে চিঠি দিল তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁকে বিদেশ মন্ত্রক বিষয়ক কমিটিতে রাখার অনুরোধও করেছেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
সম্প্রতি ঘোষণা হয় নতুন লোকসভার সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পূর্ণ তালিকা। দেখা যায়, যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানের পদ দেওয়া হয়েছে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবেকে। আর সেই কমিটিতেই রয়েছেন মহুয়া। সূত্রের দাবি, মহুয়া এর পরই দলীয় নেতৃত্বের কাছে অনুরোধ করেন তাঁকে ওই কমিটি থেকে স্থানান্তরিত করার জন্য স্পিকারকে চিঠি দিক দল। প্রসঙ্গত, নিশিকান্ত ও মহুয়ার মধ্যে তিক্ত সম্পর্কের কথা সর্বজনবিদিত। তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে ক্যাশ ফর কোয়ারির অভিযোগ এনেছিলেন নিশিকান্তই। সেই পুরনো দ্বন্দ্বের জেরেই কমিটি থেকে সরে যেতে চেয়েছেন মহুয়া, গুঞ্জন তেমনই। যদিও সুদীপ তাঁর লেখা চিঠিতে মহুয়াকে স্থানান্তরিত করার কোনও কারণের উল্লেখ করেননি।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ জয়া বচ্চন নিশিকান্তের কমিটি থেকে স্থানান্তরিত হয়েছেন শ্রম মন্ত্রক বিষয়ক কমিটিতে। অন্যদিকে শ্রম মন্ত্রক বিষয়ক কমিটি থেকে নিশিকান্তর কমিটিতে এসেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার সাংসদ সাখেত গোখলে।
উল্লেখনীয়, ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন মামলায় গত বছর সাংসদ পদ খারিজ হয়েছিল মহুয়া মৈত্রর। নিশিকান্ত দুবের অভিযোগের ভিত্তিতে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করে এথিক্স কমিটি। নিশিকান্তর অভিযোগ ছিল ব্যবসায়ী বন্ধু দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে নগদ অর্থ এবং দামি উপহার নিয়ে তাঁকে সংসদের ওয়েবসাইটের পাসওয়ার্ড দেন তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ। বস্তুত, পাঁচ বছরের সাংসদ জীবনে মহুয়াকে রীতিমতো তাড়া করে গিয়েছেন দুবে। ফলে প্রশ্ন উঠেছিল, সেই দুবের নেতৃত্বাধীন কমিটিতে কীভাবে কাজ করবেন মহুয়া? আদৌ তিনি যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির বৈঠকগুলিতে যোগ দেবেন? অবশেষে তাঁকে সেখান থেকে সরানোর আর্জি জানাল তৃণমূল।