ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বিমল গুরুংয়ের এনডিএ ছাড়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল তৃণমূল। বুধবার রাতেই টুইট করে তৃণমূলের তরফে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে সকলে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করবেন বলেও জানিয়ে দেয় নেতৃত্ব।
এদিনই কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা রাখার কথা জানান গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বহিষ্কৃত নেতা বিমল গুরুং। একইসঙ্গে এনডিএর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জোট ছাড়ার কথাও ঘোষণা করেন তিনি। তারপরই তাঁর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করল তৃণমূলও। জানাল, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বের উপর ভরসা রেখে শান্তি প্রক্রিয়াকে সমর্থন ও এনডিএ জোট ছাড়ার বিমল গুরুংয়ের সিদ্ধান্তকে আমরা সমর্থন করছি।” বিজেপিকে একহাত নিয়ে তৃণমূলের দাবি, বিজেপি গোর্খাল্যান্ড ইস্যুকে রাজনীতির জনব্য ব্যবহার করেছিল। তাঁদের সেই ছক এবার সকলের সামনে চলে এল। টুইটারে তৃণমূলের তরফে আরও জানানো হয়েছে, মাতৃভূমির শান্তিরক্ষা ও উন্নয়ন করতে পাহাড়ের সকলপক্ষ এক সঙ্গে লড়াই করবে।
[আরও পড়ুন : গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে অনড় থেকেও বিজেপির সঙ্গে সম্পর্কছেদ, মমতার দ্বারস্থ বিমল গুরুং]
এদিন আচমকাই সল্টলেকে গোর্খাভবনের বাইরে দেখা যায় বিমল গুরংকে। তারপরই সাংবাদিক বৈঠক করে ‘ঘর ওয়াপসি’র কথা ঘোষণা করেন তিনি। কিন্তু তাঁর এই হঠাৎ প্রত্যাবর্তন ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। মোর্চার এই নেতার বিরুদ্ধে পুলিশ কর্মী অমিতাভ ঘোষকে খুনের অভিযোগ রয়েছে। UAPA ধারায়া মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এতদিন গ্রেপ্তারির ভয়ে কার্যত পালিয়ে বেরিয়েছেন গুরুং। আচমকাই খাস কলকাতা তাঁর ফিরে আসা ও মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে নির্বাচনে লড়াইয়ের পিছনে গভীর রাজনীতি দেখতে পাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল। উল্লেখ্য, তৃণমূলের দাবি বিমল গুরুং গোর্খাল্যান্ডের দাবি থেকে সরে এসেছেন। কিন্তু সাংবাদিক বৈঠক সেই দাবিতে অনড় থাকার কথাই জানিয়েছিলেন বিমল।