সম্যক খান, মেদিনীপুর: মনোনয়ন পর্বে ভাঙড় থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা উত্তাল। এই অস্থির পরিস্থিতিতে সৌজন্যের ছবি দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীতে। বিজেপির সাংসদ দিলীপ ঘোষকে ওআরএস ও ঠাণ্ডা জল দিলেন তৃণমূলের কর্মীরা।
রৌদ্রের প্রখর তাপের মধ্যেই ব্লকে ব্লকে গিয়ে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন কেমন হচ্ছে তা দেখতে বেরিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার দুপুরে মেদিনীপুর সদর ব্লক পরিদর্শন করার পর তিনি শালবনী গিয়েছিলেন দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নের অবস্থা দেখার জন্য। ফেরার জন্য যখন তিনি নিজের গাড়ির দিকে হাঁটা দিয়েছেন তখনই তাঁর দিকে এগিয়ে এলেন তৃণমূলের দুই যুবকর্মী অতনু সিংহ ও অসিত ঘোষ। তাঁদের হাতে ঠাণ্ডা জলের বোতল এবং ওআরএসের প্যাকেট। সাগ্রহে তা গ্রহণও করলেন দিলীপবাবু। দিলেন ধন্যবাদও। সৌজন্যমূলক কথাবার্তা বললেন তৃনমূল কর্মীদের সঙ্গেও। তাঁদের বললেন আপনারা নমিনেশন করুন।
[আরও পড়ুন: আধিকারিকদের শৌচালয়ে ঢুকিয়ে ব্যাংক ডাকাতি, সিসিটিভির হার্ডডিস্কও খুলে নিয়ে গেল দু্ষ্কৃতীরা]
পরে সংবাদমাধ্যমকে দিলীপবাবু বলেছেন, “এখন পর্যন্ত আমরাই তো সব জায়গাতে নমিনেশন করছি। ইতিমধ্যে ৭০ শতাংশ নমিনেশন হয়ে গিয়েছে। আজ হলে বাকিটাও হয়ে যাবে। ব্যবস্থাও সব ঠিক আছে। এমনি কোনও টেনশন নেই।” সেখান থেকে তিনি ফের অন্যান্য ব্লকের উদ্দেশ্যে চলে যান।
মাত্র ২৪ ঘন্টা আগেই এজেলায় ভিন্নচিত্র দেখা গিয়েছিল। নারায়ণগড় ব্লকে নমিনেশন দেখতে গিয়েছিলেন দিলীপবাবু। তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে দেখে চোর চোর স্লোগান তুলেছিলেন। আর এদিন দেখা গেল সম্পূর্ণ উলটো চিত্র। জঙ্গলমহলের শালবনীর মতো এলাকায় শাসকদলের কর্মীদের কাছে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেলেন তিনি। ঘটনাস্থলের অদূরেই দাঁড়িয়েছিলেন জেলা তৃণমূলের যুব সভাপতি সন্দীপ সিংহ। তিনি বলেছেন, “এটাই আমাদের সংস্কৃতি। রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন হলেও আমরা সবাই মানুষ। মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধীদের পক্ষ থেকে যেসব অভিযোগ আনা হয় তা যে সব ভিত্তিহীন তা আগেই প্রমাণিত হয়েছে। এদিন দিলীপবাবুও সেটা প্রত্যক্ষ করে গেলেন। এই দাবদাহে অতিথিকে একটু ওআরএস এবং ঠাণ্ডা জল খাইয়েছি মাত্র। এটা বড় কিছু নয়। এটাই আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি।”