সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) প্রতিষ্ঠা দিবসে বড় বার্তা দেবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বিজেপি বিরোধিতায় আরও বেশ কিছু নতুন অস্ত্র হাতে তুলে দেবেন, দিশা দেখাবেন আগামী দিনের – এমনই প্রত্যাশা ছিল। প্রত্যাশা পূরণ করলেনও তৃণমূল সুপ্রিমো। আরও শক্তি নিয়ে দিল্লি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার দিকনির্দেশ দিলেন তিনি। এক্ষেত্রে হাতিয়ার বাংলার নেতাদের বিরুদ্ধে বারবার কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির সমন পাঠানো। বললেন, ”দিল্লি সরকার যখন রাজনীতিতে আমাদের সঙ্গে পেরে ওঠে না, তখন এজেন্সি লেলিয়ে দেয়। মানবাধিকার কমিশনকে কলকাতায় পাঠায়। কিন্তু এসব রাজনীতির জায়গা নয়। রাজনীতি সেবার জায়গা, মানুষের কাজ করার জায়গা।”
দুটি সংবাদ সংস্থা এএনআই, পিটিআই সূত্রের খবর, শনিবারই কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্তের স্বার্থে তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ও তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে ইডি (ED)। ৬ সেপ্টেম্বর তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। হাতে গরম এই ইস্যু নিয়ে যে তৃণমূল নেত্রী ঝাঁপিয়ে পড়বেন, তা প্রত্যাশিত ছিল। সেটাই প্রতিফলিত হল তাঁর ভাষণে। ইডি-সিবিআই জোড়া এজেন্সির মধ্যে প্রতিহিংসামূলক রাজনীতিকরণের (Vindictive Politics) অভিযোগে তিনি সরব হলেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। তবে এবারের সুর আরও চড়া। তাঁর অভিযোগ, কয়লা কেলেঙ্কারিতে বারবার অভিষেককে তলব করার বিষয়টি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। রাজনীতির লড়াইয়ে পিছু হঠেই কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দলের এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন মমতা।
[আরও পড়ুন: TMCP Foundation Day: ‘যে রাজ্যে পা রাখব সেটাই দখল করব’, অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের]
এ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও আক্রমণ, ”কয়লা চুরিতে শুধু তৃণমূলকে দায়ী করলে হবে? কয়লার নিরাপত্তা CISF-এর দায়িত্বে। ভোটের সময় যত বিজেপি নেতা, মন্ত্রী এসেছিল এ রাজ্যে, তাঁরা আসানসোলে কোনও মাফিয়াদের হোটেলে ছিল, সব জানি। তাঁরা সবাই কয়লা চুরিতে জড়িত। একটা আঙুল দেখালে, আমরা ১০টা আঙুল দেখাতে পারি। একটা এজেন্সি দেখালে আমরা একগুচ্ছ প্রমাণ দেখাব। বিজেপির বন্ডে কত টাকা জমা পড়ে, কীভাবে টাকা আসে, সেসবের তদন্ত করুক ইডি।”
[আরও পড়ুন: Corona Vaccination: দুয়ারে সম্মেলন, ভ্যাকসিন নিতে হুড়োহুড়ি সিপিএমে]
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠিক আগে বক্তব্য রেখেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও ভাষণের মাঝে বলেন, “ইডি-সিবিআই দিয়ে তৃণমূলকে ধমকে চমকে লাভ নেই।” এহেন মন্তব্য যে তাঁকে ইডি তলবেরই জবাব, তা স্পষ্ট। এই দিনটিকে সামনে রেখে দলের সকলে মিলে কেন্দ্রের বিরোধিতায় অস্ত্রে আরও শান দিলেন।