বিক্রম রায়, কোচবিহার: এবার প্রকাশ্যে শাসকদল তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীকোন্দল। কোচবিহারের মাথাভাঙার দলের নেতাকেই শোকজ করলেন ব্লক সভাপতি। দলবিরোধী কাজ এবং দুর্নীতির কারণ দেখিয়েই শোকজ করা হয় তাঁকে। তবে একজন ব্লক সভাপতির শোকজের পরই তাঁর ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
ব্লক সভাপতি হরিপদ মিত্রর অভিযোগ, কোচবিহারের (Cooch Behar) মাথাভাঙার ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সহ সভাপতি শাবলু বর্মন রেশন ডিলারদের কাছ থেকে টাকা তুলছেন। এছাড়া বিধানসভা ভোটের পর থেকে তিনি দলবিরোধী কাজে যুক্ত হয়েছেন বলেও অভিযোগ। এই অভিযোগেই শাবলুকে শোকজ করেন তিনি। যদিও ব্লক সভাপতির এই সিদ্ধান্ত বিরোধিতা করেছেন ব্লকের তৃণমূল সহ সভাপতি শাবলু বর্মন। দুর্নীতির অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন তিনি। ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারেরও অভিযোগও তুলেছেন শাবলু বর্মন। এই পরিস্থিতিতে তিনি জেলা তৃণমূল সভাপতিকে পাশে পেয়েছেন। জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের দাবি, ব্লক সভাপতি যা করেছেন তা তাঁর এক্তিয়ারভুক্ত নয়। কেন তিনি এমন কাজ করলেন, তা খতিয়ে দেখবে দল। যদিও তার পালটা কোনও প্রতিক্রিয়া ব্লক সভাপতির তরফে পাওয়া যায়নি।
[আরও পড়ুন: বিজেপি কর্মীদের শুদ্ধিকরণ! অনুব্রতর গড়ে স্যানিটাইজেশনের পর তৃণমূলের ফিরলেন ১৫০ জন]
জানা গিয়েছে, ব্লক সভাপতি হরিপদ মিত্র বিনয়কৃষ্ণ বর্মনের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। অভিযুক্ত শাবলু আবার ব্লক তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিমা রায়ের ঘনিষ্ঠ। তাই দু’পক্ষ গোষ্ঠীকোন্দলে জড়িয়ে পড়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। বারবারই বিরোধী বিজেপি শিবির তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে সরব হয়েছে। সুর চড়িয়েছে। কোচবিহারের মাথাভাঙায় শোকজকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল সামনে চলে আসার ইস্যুকে আবারও হাতিয়ার করেছে গেরুয়া শিবির (BJP)। পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি নিয়ে বিজেপির অন্দরে ভিন্ন সুর। যা নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে পদ্মশিবির। তারই মাঝে উত্তরবঙ্গে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনাই যেন বিজেপিকে অক্সিজেন জোগাচ্ছে।