সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একুশের ভোটের আগে বঙ্গ সফরটা রুটিনে পরিণত করে ফেলেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। কখনও অমিত শাহ (Amit Shah), কখনও জেপি নাড্ডা, কখনও অন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বা নেতারা বাংলায় আসছেন। কিন্তু এই বঙ্গ সফরে এসে যাতে গেরুয়া শিবিরের নেতারা বাড়তি প্রচারের আলো কেড়ে নিতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে কার্যত সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল। নাড্ডার এবারের সফরের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হল না।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে একযোগে আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের শীর্ষস্থানের একাধিক নেতা। আর সেটা করতে গিয়ে খানিকটা হলেও মাত্রা ছাড়ালেন দলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy)। তাঁর কথায়, “জেপি নাড্ডা একজন জোকার। জঘন্য কথাবার্তা বলেন। বিজেপি আসলে নীরব মোদিদের দল। ব্যাংকচোরদের দল।” শুধু নাড্ডা নন, এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশেও কটূক্তি শোনা গিয়েছে সৌগতর গলায়। অমিত শাহকে ‘পেট মোটা’ বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দাড়ি নিয়েও কটাক্ষ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “প্রধানমন্ত্রীও দাড়ি রাখছেন, রামছাগলও দাড়ি রাখে।”
[আরও পড়ুন: ‘মমতাদিদি কিছুই করবেন না’, কাটোয়ার কৃষকসভায় স্পষ্ট বাংলায় কটাক্ষ নাড্ডার]
নাড্ডার এদিনের বঙ্গ সফরের মূল লক্ষ্যই হল বাংলার কৃষকদের মন জয় করা। দিল্লির কৃষক বিক্ষোভের আঁচ যাতে এরাজ্যে কোনওভাবেই না পড়ে তা নিশ্চিত করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। সেই উদ্দেশ্যে এদিন ‘কৃষক সুরক্ষা অভিযান’ এবং ‘একমুঠো চাল সংগ্রহ’ অভিযানের সূচনা করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। কিন্তু নাড্ডার এই কৃষকপ্রীতি যে নেহাতই ‘লোক দেখানো’ এদিন সেটাই প্রমাণ করার চেষ্টা করলেন তৃণমূল নেতারা। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) বললেন, “এত দূরের পথ বেয়ে ওঁর বাংলাতে আসার সময় হয়। অথচ, মাত্র ৪০ মিনিট দূরে দিল্লির কৃষকদের সঙ্গে দেখা করে আসতে পারেন না।” তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েনও এদিন টুইট করে দাবি করেছেন, “এক ‘ম’ কৃষকদের কথা ভাবেন না। আরেক ‘ম’ কৃষকদের জন্য আন্তরিকতার সাথে কাজ করেন।” প্রথম ‘ম’ অর্থাৎ মোদির সঙ্গে দ্বিতীয় ‘ম’ অর্থাৎ মমতার কাজের একটি তুলনামূলক পরিসংখ্যানও পেশ করেছেন তিনি।