কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: গতবারের বিধানসভা নির্বাচনে যা করতে পারেননি, এবার তা করেছেন। পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর (Chandipur) কেন্দ্র থেকে ভোটে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থী সোহম চক্রবর্তী (Soham Chakraborty)। কিন্তু নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিনই অভিনেতার পরিবারে এল দুঃসংবাদ। অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হল সোহমের শ্যালিকার। মৃতার নাম পারমিতা নাথ। বয়স ৩৫।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার কেষ্টপুরের এএইচ ব্লকের অভিজাত আবাসন থেকে পারমিতাদেবীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকা। পুলিশ এসে আবাসনের দোতলার ঘর থেকে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। খবর পেয়েই কেষ্টপুরে পৌঁছান সোহমের স্ত্রী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই পারমিতা নাথের স্বামী রুদ্রপ্রসাদ ও শাশুড়ি বাসন্তী নাথকে গ্রেপ্তার করা হয়। দু’জনের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: করোনায় বিধ্বস্ত দেশ, অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেল ‘তুফান’ সিনেমার মুক্তি]
অভিযোগ, পারমিতাদেবীর উপর নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হত। তাঁকে বিবাহবিচ্ছেদের জন্যও চাপ দেওয়া হত। প্রার্থমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, দিনের পর দিন অত্যাচারের জেরে মানসিক অবসাদেই আত্মঘাতী হয়েছেন গৃহবধূ।
২০১৬ সালে ভোটের ময়দানে পা রাখেন সোহম। সে বছর বড়জোড়া থেকে প্রার্থী করা হয়েছিল তাঁকে। তবে সেবার জিততে পারেননি অভিনেতা। অবশ্য তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সহ-সভাপতির দায়িত্ব বেশ ভালভাবেই সামলেছেন তিনি। এবার পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হয়েছিলেন সোহম। তাঁর বিপক্ষে একদিকে ছিলেন বিজপির (BJP Candidate) পুলককান্তি গুড়িয়া, অন্যদিকে সিপিএমের (CPM Candidate) আশিস গুছাইত। এঁদের হারিয়েই জয় পান সোহম। তবে এই খুশির মধ্যেও এল দুঃসংবাদ। অবশ্য নিজের জয়ের জন্য চণ্ডীপুরবাসীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি সোহম। ফেসবুকে অভিনেতা লিখেছেন, “এই জয় আমার জয় নয়, এই জয় গোটা চণ্ডীপুর বিধানসভার জয়, এই জয় গোটা বাংলার জয়, এবং এ জয় আমাদের নেত্রী শ্রদ্ধেয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের জয় এবং তার জয়।”