সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরুষি হত্যা মামলায়ও তলোয়ার দম্পতির বিরুদ্ধে অনার কিলিং বা সম্মান রক্ষার্থে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। সিবিআইয়ের দাবি ছিল, বাড়ির পরিচারকের লোকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল আরুষির। তাই পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে নিজেদের একমাত্র কিশোরী মেয়ে ও বাড়ির পরিচারককে খুন করেছেন রাজেশ ও নূপর তলোয়ার। কিন্তু, সেই অভিযোগ ধোপে টেকেনি আদালতে। প্রমাণের অভাবে তলোয়ার দম্পতিকে বেকসুর খালাস দিয়েছে এলাহাবাদ হাই কোর্ট। তবে পরিবার সম্মান রক্ষার্থে মেয়েকে খুন করার অবশ্য স্বীকার নিয়েছে তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ের বাসিন্দা ওই দম্পতি। ওই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেও ভদ্র মহিলারা মন্দিরে ঢুকবেন না’]
জানা গিয়েছে, মাদুরাইয়ের কিলাভানেরি গ্রামে স্ত্রী ও চার সন্তানকে নিয়ে থাকে আর গনানভেল। পরিবারটি উচ্চবর্ণের। স্বামী, স্ত্রী দুজনেই পেশায় কৃষিবিদ। কয়েক দিন আগে বা়ড়ি থেকেই ওই দম্পতির কনিষ্ঠতম সন্তানের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বছর ষোলোর মেয়েটা নবম শ্রেণিতে পড়ত। পুলিশের দাবি, প্রথমে এই দম্পতি দাবি করেছিল, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছে তাদের মেয়ে। কিন্তু, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসতেই পুলিশের সন্দেহ হয়। রিপোর্টে মৃতার গলায় ফাঁসের দাগ থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।
[গৌরী লঙ্কেশ খুনে সন্দেহভাজনদের স্কেচ প্রকাশ তদন্তকারী দলের]
থানায় ডেকে ওই দম্পতিকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, লাগাতার জেরায় একসময়ে ভেঙে পড়ে ওই দম্পতি। নিজের মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করার স্বীকার করে নেয় তারা। কিন্তু, কেন একাজ করেছে ওই দম্পতি? পুলিশের দাবি, জেরায় ওই দম্পতিকে, গ্রামেরই এক দলিত যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাদের মেয়ের। তাই পরিবারের সম্মান বাঁচাতেই মেয়েকে খুন করেছেন তাঁরা। ওই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের পুলিশে হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামে যেসব ছেলের সঙ্গে মৃতার বন্ধুত্ব ছিল, তাঁদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
[প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কটুক্তি করে বিতর্কে কর্নাটকের মন্ত্রী]
The post দলিত যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক, সম্মান বাঁচাতে মেয়েকে খুন দম্পতির appeared first on Sangbad Pratidin.