সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তান্ত্রিকের পরামর্শে তিন মাসের শিশুকন্যাকে সুস্থ করতে ৭ বছরের নাবালক ভাইপোকে বলি দিল এক যুবক। নারকীয় এই ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের জামুই জেলার সোনো পুলিশ স্টেশনের অন্তর্গত কোহিলা এলাকায়। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জামুই (Jamui) জেলার সোনো পুলিশ স্টেশনের অন্তর্গত কোহিলা (Kohila) এলাকার বাসিন্দা তুফানি যাদব (৩৫)-এর ২ মাসের ছেলে গত বছর অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছিল। এবার তার তিন মাসের শিশুকন্যা একই রকম অসুস্থতায় ভুগতে শুরু করায় চিন্তায় পড়ে যায় সে। মানসিক পরিস্থিতি দেখে তার এক সম্পর্কিত ভাই কারু যাদব (২২) স্থানীয় এক তান্ত্রিক জনার্দন গিরির (৫০) কাছে নিয়ে যায়। ওই তান্ত্রিক তুফানিকে বলে, সে যদি ছোট ভাই কেভাল যাদবের সাত বছরের নাবালক পুত্র সৌরভকে বলি দেয় তাহলে তার শিশুকন্যা সুস্থ হয়ে উঠবে। এই কথা শুনে নিজের বাবা ফুলেশ্বর, মা কুন্তি দেবী ও স্ত্রী সিন্ধু দেবীর সঙ্গে সৌরভকে খুনের ছক কষে তুফানি।
[আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র! ব্যাংক দুর্নীতির মামলায় সঞ্জয় রাউতের স্ত্রীকে তলব ইডির]
সেই মতো গত ২২ তারিখ সকালে সৌরভ যখন একটি দোকান থেকে বিস্কুট কিনে বাড়িতে ফিরছে তখন তার রাস্তা আটকায় তুফানি। তারপর হাতে থাকা তরোয়াল দিয়ে এলাকাবাসীর চোখের সামনেই এক কোপে সৌরভের গলা কেটে নেয়। আর কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনা ঘটানোর আগে বাড়িতে শিশুকন্যাকে বসিয়ে সে পুজো করেছিল বলেও জানা গিয়েছে।
এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত শুরু করেন স্থানীয় থানার পুলিশকর্মীরা। পরে গ্রামের কাছে থাকা একটি জঙ্গল থেকে তুফানি, তার মা, স্ত্রী ও কারু যাদবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর অভিযুক্ত তান্ত্রিক জনার্দন গিরিকে গ্রেপ্তার করা হয় প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ড সংলগ্ন গিরিডি সীমান্ত থেকে। তবে এখনও তুফানির বাবা ফুলেশ্বরকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তার সন্ধানে তল্লাশি চলছে।