সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা ভোটের ৩-৪ মাস আগেই খুলে যাবে বহু প্রতীক্ষিত অযোধ্যার রাম মন্দির (Ram Mandir)। ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে মন্দির নির্মাণের ৫০ শতাংশ কাজ। এই মন্দিরকে ভূমিকম্প প্রতিরোধী হিসেবেই তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। আর সেজন্য কর্ণাটকের চিক্কাবল্লভপুর জেলা থেকে আনা হয়েছে বিশেষ গ্রানাইট পাথর। যা ব্যবহার করা হয়েছে ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে।
কী বিশেষত্ব ওই পাথরের? কর্ণাটকের বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রতিনিধির দাবি, এই পাথরগুলি আগুনে পোড়ে না। আর এই পাথরের ব্যবহার করার ফলে মন্দিরের ভিত এতই মজবুত হবে যে প্রবল ভূমিকম্পেও কিছুই হবে না। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দেড় হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পরীক্ষা করার পরে ফের শীতল অবস্থানে রেখে খুঁটিয়ে শক্তি পরীক্ষা করে তবে পাথরগুলি অযোধ্যায় পাঠানো হয়েছে। এর ফলে পাথরটি জল প্রতিরোধীও হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘জিন্দেগি তো বেওয়াফা হ্যায়…’, শোকজের জবাব দিয়েই ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট বড়ঞার ওসির]
সরযূ নদীর তীরে ৪০ ফুট গর্ত করে তার ভিতরে পাথরগুলিকে বিন্যস্ত করে মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে। সমস্ত পাথরই ৫ ফুট লম্বা, ৩ ফুট পুরু ও ২.৭৫ ফুট চওড়া। ভূতত্ত্ববিদদের দাবি, এই পাথরগুলি ২৫০ কোটি বছর আগে তৈরি হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জানুয়ারির গোড়াতেই মন্দির নির্মাণ এবং মূর্তি স্থাপনের প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে। গত মঙ্গলবার ট্রাস্টের চেয়ারম্যান শম্পত রাই জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে রাম মন্দির নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হবে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে মকর সংক্রান্তির সময় রামলালার (Ram Lalla) মূর্তি স্থাপন করা হবে মন্দিরে। রামলালার মূর্তিটিকে এখন অস্থায়ী মন্দিরে রাখা আছে। সেখানেই সেটির পুজো করা হয়। মূর্তি মূল মন্দিরে স্থাপন করার পরই সেটা সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান! বাবাকে মারধরের পর নাবালিকাকে ‘অপহরণ’ তৃণমূল নেতার]
সব ঠিক থাকলে ২০২৪ সালের মার্চ-এপ্রিল মাসে লোকসভা ভোট হওয়ার কথা। অর্থাৎ আগামী লোকসভা ভোটের আগে রাম মন্দির নির্মাণ সম্পূর্ণ হবে। এবং সাধারণ গেরুয়া রাজনীতির জন্য তথা তৃতীয় দফায় কেন্দ্রে বিজেপি (BJP) সরকার গঠনে রাম মন্দির নির্মাণ গুরুত্বপূর্ণ হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।