shono
Advertisement

পানশালায় বন্ধ করতে হবে নাচাগানা, ভোটের আগে আরজি নির্বাচনে কমিশনে

নিউ মার্কেট এলাকায় তিনটি ডান্স বারে অশ্লীল নাচাগানার আসর বসছে বলে অভিযোগ।
Posted: 12:36 PM Mar 07, 2021Updated: 12:44 PM Mar 07, 2021

শুভঙ্কর বসু: পানশালায় নর্তকী নাচবেন কি নাচবেন না, তার বিচারের জন্যও নির্বাচন কমিশনের দরবারে আরজি! ভোটের দিন যে ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। ফলে কমিশন এটাই বা দেখবে না কেন? রাজ্যে বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে ১০০ শতাংশ আইনশৃঙ্খলা জনিত ব্যাপারগুলিও এখন কমিশনের কোর্টে চলে আসছে। যার জেরে কমিশন কর্তরা যথেষ্ট বিড়ম্বনাতেই। উপরের ঘটনাটি এর একটা জ্বলন্ত প্রমাণ।

Advertisement

পানশালায় রাত্রে নাচাগানা ও মস্তির আসর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন এক ব্যক্তি। রীতিমতো দরখাস্ত লিখে তিনি অভিযোগ করেছেন, নিউ মার্কেট এলাকায় তিনটি ডান্স বারে প্রতি রাতে অশ্লীল নাচাগানার আসর বসছে। স্বল্পবসনা নাবালিকাদের দিয়ে চলছে ড্যান্স শো। গভীর রাতে তাদের দিয়ে দেহব্যবসা করানো হচ্ছে বলেও দরখাস্তে উল্লেখ করেছেন তিনি। আর সবটাই স্থানীয় থানার মদতে চলছে বলেও অভিযোগ তাঁর।

[আরও পড়ুন : কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক পদে ইস্তফা দিচ্ছেন ফিরহাদ, ছাড়ছেন সব সরকারি পদ]

কিন্তু পানশালায় নাচাগানার আসরের সঙ্গে ভোটের কি কোনও যোগ রয়েছে? রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দপ্তরের এক কর্তার কথায়, “অনেকেই ভাবেন ভোট ঘোষণার পর সমস্ত দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। তাই বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা সমাধানের জন্যও তাঁরা কমিশনের দ্বারস্থ হন। কিন্তু ভোটের সঙ্গে যেগুলির সরাসরি কোনও যোগ নেই সেক্ষেত্রে কমিশনের কিছু করার থাকে না। যাবতীয় দায়িত্ব প্রশাসনেরই।” কিন্তু এক্ষেত্রে কি কমিশনের কিছু করার আছে? আইনত পশ্চিমবঙ্গে গানের আসর চলতে পারলেও নর্তকীর নাচ নিষিদ্ধ। এব্যাপারে নির্দিষ্ট আইনও রয়েছে। আগে গানের আসর বসাতে পানশালাকে আবগারি দপ্তর থেকে ক্রুনার লাইসেন্স নিতে হত। এখন তা বাধ্যতামূলক না হলেও বার সিঙ্গারদের যাবতীয় পরিচয়পত্র-সহ নথি স্থানীয় থানা ও পাস সেকশনে জমা রাখতে হয়। খাতায় কলমে বেশ কিছু নিয়মও রয়েছে। যেমন, গাইয়ে স্টেজ থেকে নামতে পারবেন না, টাকা ওড়ানো যাবে না।

কিন্তু অভিযোগ, মহানগরের বিভিন্ন পানশালায় এসব শর্ত লঙ্ঘিত হয়। উপরন্তু আড়ালে আবডালে কোথাও কোথাও চটুল নাচের আসরও বসে। যেখানে স্বল্পবসনা নর্তকীর মদির দেহভঙ্গিমায় খদ্দেরদের উপর সুরার নেশা আরও চেগে বসে। পরিণামে কোথাও কোথাও অশান্তিও বেধে যায়। শুধু পানশালা নয়, গত কয়েক বছরে শহরে হুক্কাবারের সংখ্যাও বেড়েছে কয়েকগুণ। সেখানে আবার মাদকের অবাধ আনাগোনা বলে অভিযোগ। কমিশনের বক্তব্য, এগুলি পুরোপুরি আইনশৃঙ্খলার ব্যপার, এর সঙ্গে ভোটের কোনও যোগ নেই। পুলিশকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। “তবে আইন অনুযায়ী ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে বার বা পানশালা বন্ধ রাখার নিয়ম। তেমনটা না করলে কমিশন কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে” জানাচ্ছেন ওই কর্তা। তবে পানশালাগুলিতে যদি বেআইনি মদ ও কাগজহীন নগদ লেনদেনের প্রমাণ মেলে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পানশালার লাইসেন্স পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

[আরও পড়ুন : মোদির ব্রিগেডে যোগ দিতে শহরে মিঠুন, গভীর রাতে কৈলাসের সঙ্গে বৈঠক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement