সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাত মাস পর খুলল বড়বাজারের পুড়ে যাওয়া বাগরি মার্কেট। ব্যবসায়ীদের মুখে ফুটল হাসি। গত বছর পুজোর আগে থেকে যে অনিশ্চিয়তার মেঘ তৈরি হয়েছিল, বৃহস্পতিবার তা কাটল। বাগরি মার্কেটের সাতটি ব্লকের প্রায় ৮০০ দোকানের ঝাঁপ খুলল এদিন।
[এসিতে হাত, চলন্ত অ্যাপক্যাবে মূক শিশুর হাত মুচড়ে দিল চালক]
গত সেপ্টেম্বর মাসে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় বাগরি মার্কেটের একটি অংশ। মূলত ‘এ’ ব্লকটিই সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। বাকি ব্লকগুলির বেশিরভাগ অংশ অক্ষত। কিন্তু বাড়িটির বিপজ্জনক অবস্থা বিবেচনা করেই দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাই পুজোর আগে থেকে সমস্যায় পড়েন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। বেশিরভাগ ব্যবসায়ীই ভিতর থেকে জিনিসপত্র সরিয়ে নেন। অন্য ঠিকানায় ব্যবসা শুরু করেন। মার্কেটের বহু দোকান ওষুধের। অগ্নিকাণ্ডের পর ভিতর থেকে ওষুধের পেটি সরানোর অনুমতি দেওয়া হয়নি। এবার নতুনভাবে দোকান চালু করার পর অগ্নিকাণ্ডের আগে থেকে মজুত ওষুধ যাতে বিক্রি করা না হয়, সেই বিষয়েও নজরদারি শুরু হয়েছে। কিছুদিন আগেই বাগরি মার্কেট পরিদর্শন করেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ব্যবসায়ীদের শর্ত দেওয়া হয়। এই বিষয়ে তাঁরা মুচলেকাও জমা দেন। এর পরই তাঁদের দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়।
ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, শর্তসাপেক্ষে তাঁরা দমকলের ছাড়পত্র পেয়েছেন। অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র, স্মোক অ্যালার্ম, স্মোক ডিটেক্টর, পাম্প, নতুন জল ও বিদ্যুতের লাইন তৈরি করা হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মাটির তলায় রিজার্ভার ও ছাদে এক লক্ষ গ্যালনের রিজার্ভার তৈরির কাজ চলছে। এক প্লাস্টিকের সামগ্রীর ব্যবসায়ী জানান, পুজোর পর থেকে তাঁরা ভাল করে লাভের মুখ দেখতে পারেননি। এবার সেই ক্ষতি সুদেআসলে পূরণ করে নেওয়ার সুযোগ পাবেন বলেই আশা করছেন ব্যবসায়ীরা৷
[সাসপেনশন স্থগিত, স্বস্তি পেলেন মোদির কপ্টারে তল্লাশি চালানো আইএএস অফিসার]
The post আগুনের স্মৃতি অতীত, ৭ মাস পর বাগরি মার্কেট খোলায় স্বস্তিতে ব্যবসায়ীরা appeared first on Sangbad Pratidin.