সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল কেরল হাই কোর্ট (Kerala High Court)। ভাইয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে গর্ভবতী হয়ে পড়ে ওই নাবালিকা। তার বাবার আবেদনের ভিত্তিতে গর্ভপাতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিচারকের বক্তব্য, এক্ষেত্রে গর্ভপাতের অনুমতি না দিলে একাধিক সামাজিক ও চিকিৎসা সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিতে পারে।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার বয়স ১৫ বছর। বিচারপতি জিয়াদ রহমানের সিঙ্গল বেঞ্চ গর্ভবতী নাবালিকার মেডিক্যাল রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিল। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের রিপোর্টে দেখা যায়, নাবালিকা ৩২ মাসের বেশি অন্তঃসত্ত্বা। আদালতের বক্তব্য, গর্ভপাত না করানো হল সামাজিক এবং মানসিক আঘাতের শিকার হবে নাবালিকা। বিচারপতি রহমান বলেন, অন্যদিকে দুই ভাই-বোনের থেকে জন্ম নেওয়া শিশুটি সামাজিক অস্বস্তির মধ্যে পড়বে। একই কারণে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জটিলতাও দেখা দিতে পারে তার। এক্ষত্রে গর্ভপাতের যে অনুমতি চেয়েছেন আবেদনকারী তা কার্যত অনিবার্য বলেই মনে করছে আদালত।
[আরও পড়ুন: ফেসবুক পোস্টে ‘খয়রাতি’ নিয়ে কটাক্ষ সিদ্দারামাইয়াকে, কর্ণাটকে সাসপেন্ড স্কুল শিক্ষক]
বিচারপতি আরও বলেন, মেডিক্যাল রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখা গিয়েছে যে নাবালিকা শারীরিক ও মানসিকভাবে গর্ভপাতের জন্য তৈরি। গর্ভাবস্থা অব্যাহত রাখা হলে সামাজিক ক্ষেত্রে এবং মানসিক স্বাস্থ্যে গুরুতর আঘাত লাগবে। বিচারপতির বক্তব্য, মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছে মেয়েটি জীবিত শিশুর জন্ম দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। “এমন পরিস্থিতিতেও আমি আবেদনকারীর মেয়ের গর্ভপাতের অনুমতি দিতে আগ্রহী। সামান্যতম বিলম্ব না করে সরকারি হাসপাতালে নাবালিকার গর্ভপাতের নির্দেশ দিয়েছেন কেরল হাই কোর্টের বিচারক।