সুব্রত বিশ্বাস: করোনা সংক্রমণের গ্রাফ আবারও ঊর্ধ্বমুখী। ফলে দূরপাল্লার ট্রেনের সংখ্যা এখন আর বাড়াতে চাইছে না রেল। এরমধ্যে শিয়ালদহের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনের মধ্যে রমরমিয়ে চলছে পনির বাজার। ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়ে নাজেহাল যাত্রীরা এখন ক্ষোভে ফুঁসছেন। রেল কর্তৃপক্ষের এই উদাসীনতায় সরব হয়েছেন তাঁরা। যাত্রীদের অভিযোগ, আরপিএফের প্রকাশ্য মদতে স্টেশনের মধ্যে চলছে এই বাজার।
[আরও পড়ুন: সারদা কাণ্ডে রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকে তলব ইডির]
রোজ বিকেলে হলদিরামের স্টলের সামনে শিয়ালদহ সাউথ প্ল্যাটফর্মের মুখে এই বাজার বসে। যাত্রীদের অভিযোগ, প্রায় পঞ্চাশ জন পনির বিক্রেতা বিভিন্ন জেলা থেকে এসে ড্রামে, ট্রেতে, ঝুড়িতে পনির নিয়ে এসে বসে যান এই জায়গায়। জেলা থেকে মিষ্টি বিক্রেতা বা সাধারণ মানুষ এসে এখানে পনির কেনাবেচা করেন। ফলে অফিস থেকে ফেরার সময় যাত্রীদের যাতায়াতে চরম অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। রেলকে জানিয়েও সুরাহা হয়নি বলে তাদের আক্ষেপ। পনির বিক্রতাদের কথায়, আরপিএফের সখ্যের ফলে মিলেছে বসার ছাড়পত্র। স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটা চূড়ান্ত বেআইনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মূর্শিদাবাদের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এই পনির আসে ট্রেনে। আনার সময়ও বেআইনি পদ্ধতিতে পনির আনা হয় বলে যাত্রীদের অভিযোগ। শৌচালয়ের মধ্যে পনির রাখা হয় থরে থরে।সেই পনির তাজা রাখতে ব্যবহার করা হচ্ছে শৌচলয়ের জল। ফলে যাত্রীরাই ট্রেনের শৌচালয় ব্যবহার করতে পারেন না। এনিয়ে অভিযোগ উঠলেও ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ বলে তাদের অভিযোগ।
উল্লেখ্য, করোনা আবহে এহেন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পনির বাজার থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। বসন্তের শেষে, ঋতু বদলের সময়ে দেশে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে করোনা সংক্রমণ। নতুন করে চিন্তা বাড়াচ্ছে দৈনিক পরিসংখ্যান। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে (India) করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) নতুন করে সংক্রমিত ৩৯ হাজার ৭২৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৫৪ জনের। বৃহস্পতিবার এই সংখ্যাটা ছিল ৩৫ হাজার ৮৭১। তুলনায় অনেক কম সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা। পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ২০ হাজার ৬৫৪ জন। বাড়ছে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যাও। এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ কোভিড রোগী ২ লক্ষ ৭১ হাজার ২৮২ জন।