সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টোকিও অলিম্পিকে (Tokyo Olympics) ভারোত্তোলনে রুপো জিতে ইতিহাস গড়েছেন মণিপুরের মীরাবাই চানু (Mirabai Chanu)। মহিলাদের ৪৯ কেজি বিভাগে চানু মেডেল জেতেন। তাঁর সাফল্যের জন্য পদকতালিকায় ঢুকে পড়েছে ভারতের নামও। কিন্তু এবার চানুর সেই মেডেলই বদলে যেতে পারে সোনায়। এমনই জল্পনা কিন্তু ছড়িয়েছে।
কিন্তু কীভাবে এমনটা সম্ভব? এই ইভেন্টে সোনা জিতেছেন চিনের ঝিহুই হোউ। নতুন অলিম্পিক রেকর্ড গড়ে স্ন্যাচ ও ক্লিন অ্যান্ড জার্ক মিলিয়ে মোট ২১০ কেজি ওজন তুলেছেন চিনা ভারোত্তোলক। অন্যদিকে, চানু ২০২ কেজি ওজন তুলে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছেন। ইতিমধ্যে চানু গেমস ভিলেজ ছেড়ে চলে এলেও, চিনের প্রতিযোগীকে ভিলেজ ছাড়ার অনুমতি দেয়নি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কর্তৃপক্ষ। অলিম্পিক ভিলেজ সূত্রে খবর, আরও একবার ডোপ টেস্ট হতে পারে চিনের ঝিহুই হোউয়ের। আর সেই ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হলেই চানুর মেডেলর রং বদলে যাবে। সেক্ষেত্রে তিনি জিতে যাবেন সোনার পদক। যা নিঃসন্দেহে তাঁর এবং গোটা ভারতের জন্যই যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য ব্যাপার।
[আরও পড়ুন: ‘অলিম্পিক কি রসিকতার জায়গা?’, প্রণতির ব্যর্থতায় ক্ষুব্ধ প্রাক্তন কোচ মিনারা]
এই প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তা জানিয়েছেন, চিনা প্রতিযোগীকে এখনই গেমস ভিলেজ ছাড়তে নিষেধ করা হয়েছে। অর্থাৎ ওই প্রতিযোগীর আরও একবার ডোপ পরীক্ষা হবে। সরকারিভাবে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের তরফ থেকে কোনও বিবৃতি দেওয়া না হলেও, গোটা বিষয়টির উপর নজর রাখছে ভারতীয় দল। জানা গিয়েছে, চিনা প্রতিযোগীর ডোপ টেস্টের প্রথম স্যাম্পেল পরীক্ষা করা হবে। তাতে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া গেলে দ্বিতীয়বার ডোপ টেস্ট হবে তাঁর। সেক্ষেত্রে ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হলে, নিয়মানুযায়ী, চানুর রুপোর মেডেল বদলে যাবে সোনায়। প্রসঙ্গত, ৪৯ কেজির ফাইনালে স্ন্যাচে ৮৭ কেজি ও ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১১৫ কেজি তুলে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেন চানু। ফলে ২০০০ সালে সিডনি অলিম্পিকে কর্ণম মালেশ্বরীর পর দ্বিতীয় ভারোত্তোলক হিসেবে অলিম্পিকে পদক জেতার নজির গড়লেন মীরাবাই চানু। তবে চানু সোনা জিতলে অভিনব বিন্দ্রার পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে ব্যক্তিগত ইভেন্টে স্বর্ণপদক জেতার নজির গড়ে ফেলবেন তিনি।