ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ১০০ দিনের কাজে বঞ্চনা নিয়ে প্রতিবাদ। রাজভবনের সামনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের (TMC) প্রতিবাদের চতুর্থ দিন চমক! বিজেপি (BJP) ছেড়ে সোজা অভিষেকের মঞ্চে এসে যোগদান করলেন অভিনেত্রী রিমঝিম মিত্র (Rimjhim Mitra)। এদিন সন্ধেবেলা সরাসরি তৃণমূলের মঞ্চে পৌঁছে যান রিমঝিম। এর পর দলের তরফে যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য ঘোষণা করেন, অভিনেত্রী তৃণমূলে যোগ দিলেন। বিজেপি নেত্রী হিসেবে বেশ পরিচিত মুখ ছিলেন রিমঝিম।
উনিশের লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2023) পর ২১ জুলাই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রিমঝিম মিত্র। এমনিতে টলিপাড়ার বহু পরিচিত, জনপ্রিয় মুখ গেরুয়া শিবির ঘেঁষা। শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্য়ায়, পায়েল চক্রবর্তী, পার্নো মিত্র, অঞ্জনা মিত্ররা নির্বাচনেও লড়াইও করেছেন। কিন্তু একটা সময় পর তাঁরা বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছেন। আগেই বিজেপি ছেড়েছেন শ্রাবন্তী। এবার রিমঝিমও পদ্ম শিবির ত্যাগ করে যোগ দিলেন ঘাসফুল শিবিরে। তাও আবার এমন এক মঞ্চ, যা নিয়ে জাতীয় রাজনীতিও টলে গিয়েছে। ১০০ দিনের কাজ করে কেন্দ্রের থেকে বকেয়া টাকা পাননি, এই ইস্যুতে রাজভবনের সামনে চলা তৃণমূলের ধরনামঞ্চেই সোজা চলে গেলেন রিমঝিম।
[আরও পড়ুন: চিপকের মেগা ম্যাচে কোন রেকর্ড গড়লেন বিরাট কোহলি-ডেভিড ওয়ার্নার?]
রিমঝিমের এই দলবদল অবশ্য একদিনেই হয়নি। এর প্রেক্ষাপট তৈরি হচ্ছিল বছর দুই আগে থেকেই। ২০২১ সালে রাজ্যে বিধানসভা ভোটে তৃতীয়বার বিপুল সংখ্যায় তৃণমূল সরকার ফেরার পর সুর কাটছিল। তৃণমূলের দাপুটে নেতা মদন মিত্রের (Madan Mitra) লাইভে দেখা যাচ্ছিল রিমঝিম মিত্র। তিনি বলেছিলেন, “দলের বিভিন্ন বিক্ষোভ, মিছিল কর্মসূচির খবর পাই। কিন্তু কোনও গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের খবর দেওয়া হয়নি। আমার অনেক বন্ধুরাই তৃণমূলে গিয়েছেন। সেরকম সুযোগ আমারও ছিল।” এর পরই তিনি বলেন, “এভাবে চলতে থাকলে আমাকে ভাবতে হবে।” তাঁর কথায়, “উপযুক্ত সম্মান না পাওয়ায় অনেকে বিজেপি ছেড়ে গিয়েছেন। টেকেন ফর গ্রান্টেড নেওয়ার ফল কী হতে পারে তা আমরা আগেই দেখেছি।” তবে কি বিজেপিতে নিতান্তই ‘টেকেন ফর গ্রান্টেড’ হয়ে যাচ্ছিলেন রিমঝিম?
[আরও পড়ুন: ‘এখনই বেরিয়ে যান, ফিরহাদ আমাদের ভগবান’, CBI হানার বিরুদ্ধে সরব মেয়র অনুগামীরা]
এদিনের ধরনামঞ্চ থেকে সেই বিষয়টিও খানিকটা স্পষ্ট করলেন তিনি। বললেন, ”বিবেকের ডাকে এই মঞ্চে এসেছি। সভাপতি মান্যতা দেননি। বলতেন, এই অভিনেত্রী আমাদের দলে আছেন? বিজেপি কার নেতৃত্বে কাজ করবে? সুকান্ত, দিলীপ ও শুভেন্দুর নেতৃত্ব আগে ঠিক করুক। আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে বলা হত। তৃণমূল নেতৃত্ব অনুমতি দেয় তাহলে যোগ দিয়ে কাজ করতে চাই।”