সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেষবার নাইট শিবিরে ট্রফি এসেছে দশ বছর আগে। তার পর অপেক্ষা ক্রমেই বেড়েছে। ২০১৪-র পর আর আইপিএল (IPL) জয়ের স্বাদ পায়নি কলকাতা (Kolkata Knight Riders)। অথচ আবেগে ঘাটতি পড়েনি। ইডেনে নাইটদের ম্যাচ মানেই বেগুনি স্রোত বয়ে যায়। কিন্তু এবার ছবিটা অন্যরকম। মেন্টর হিসেবে ফিরে এসেছেন গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। ব্যাটে-বলে দাপটের সঙ্গে খেলেছেন শ্রেয়সরা। শীর্ষে থেকেই লিগ শেষ করেছে। ফাইনালে তাদের সামনে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
এবার কি তাহলে ট্রফি আসছে কলকাতায়? ফের শোনা যাবে 'করব, লড়ব, জিতব রে...' ধ্বনি? আশায় বুক বাঁধছেন ভক্তরা। ক্রিকেটের প্রেমে বুঁদ হয়ে আছে টলিপাড়াও। কিন্তু একটা প্রশ্ন খোঁচার মতো বারবার ফিরে আসছে। নাইটদের দলে একজনও বাঙালি ক্রিকেটার নেই। তাহলে কি সেই আবেগ নিয়ে একাত্ম হতে পারবেন সমর্থকরা? নাকি শাহরুখ খানের জন্যই এত আকর্ষণ? ফাইনালের আগে কেকেআর নিয়ে আবেগের কথা সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে জানালেন টলিপাড়ার সেলিব্রিটিরা।
গৌরব চট্টোপাধ্যায়: সেভাবে ক্রিকেট দেখা হয় না। তবে দেবলীনার সঙ্গে আইপিএলের ম্যাচ দেখতে ইডেনে গিয়েছি। দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছিল। নাইট রাইডার্স ফাইনালে ওঠায় খুব খুশি। তবে শুধু শাহরুখের জন্য নয়, এই দলের সঙ্গে কলকাতার নাম জুড়ে রয়েছে। আর কলকাতা আমার প্রথম প্রেম। তাই ফাইনালে কেকেআরের জন্যই গলা ফাটাব।
[আরও পড়ুন: ডিভোর্স হলে হার্দিকের ৭০% সম্পত্তি নাতাশার! বিচ্ছেদের জল্পনার মাঝেই জোর চর্চা]
নীল ভট্টাচার্য: এবার আমরাই চ্যাম্পিয়ন। আমি নাইট রাইডার্সের অন্ধভক্ত। ফাইনালে আমাদের কেউ হারাতে পারবে না। তার সবচেয়ে বড় কারণ গৌতম গম্ভীরের মতো 'গুরু' সঙ্গে থাকা। ব্যাকবেঞ্চারকে উনি টপার বানিয়েছেন। তাছাড়া আমাদের 'হিরো' শাহরুখ খান তো আছেই। খুব ইচ্ছে ছিল চেন্নাইয়ে গিয়ে ফাইনাল দেখার। এবার হবে না। হয়তো বাংলা কমেন্ট্রিতে থাকব। কিন্তু এবার নাইটরা জিতলে পরের বার ফাইনাল এখানে। সেবার কেকেআর ফাইনালে উঠবে।
তৃণা সাহা: আমার কাছে কেকেআর মানেই শাহরুখ। তাই কেকেআর ফাইনালে যাওয়ায় খুব খুশি। তার উপর আমার বর নীল কমেন্ট্রি বক্সে থাকবে। ডবল আনন্দ আমার। তবে একটাই দুঃখ, চেন্নাইয়ে গিয়ে খেলাটা দেখা হল না। শেষ পর্যন্ত টিভিতেই দেখতে হবে।
রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়: আমি তো রীতিমতো জয়ের গন্ধ পাচ্ছি। গৌতম গম্ভীরের মতো ক্যাপ্টেন কেকেআর কখনও পায়নি। তিনি আবার মেন্টর হিসেবে ফিরে এসেছেন। তার ফলও পাচ্ছে। কেকেআর ফ্যানরা প্রথম দিকে সন্তুষ্ট ছিলাম না মিচেল স্টার্ককে এত দাম দিয়ে কেনায়। তখন মনে হয়েছিল টিমটা কিছুই করতে পারবে না। কিন্তু কেকেআরের জার্সিতে গম্ভীরের একটা 'মিডাস টাচ' আছে। সেটাই সব কিছু বদলে দিল।
[আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া মাস্টার্সের ফাইনালে সিন্ধু, বছরের প্রথম খেতাব জয়ের হাতছানি হায়দরাবাদি তারকার সামনে]
সৌরসেনী মৈত্র: আমার জন্য শাহরুখ যেমন একটা আবেগ, সেরকমই কেকেআরও। তাই কাপ আমাদেরই। তবে হায়দরাবাদকে ঢিলে নিলে চলবে না। ওরাও দারুণ ফর্মে। তবে কলকাতার মেয়ে কিংবা বাঙালি হিসেবে আমি চাই অবশ্যই আমি চাই বাংলার আরও খেলোয়াড় আমার শহরের হয়ে খেলুক। বাংলায় বহু প্লেয়ার আছে, কিন্তু ওঁরা লাইমলাইট পান না সেভাবে। ইডেনে ম্যাচ হলে আমি খেলা দেখতে চলে যেতাম। অগত্যা বাড়িতে বন্ধুদের সঙ্গে দেখব ফাইনাল ম্যাচ।
মিমি চক্রবর্তী: ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে আমি খুবই উত্তেজিত। বেগুনি জার্সির ঝড় আবার উঠবে। আমার তরফকে নাইট রাইডার্সকে শুভেচ্ছা জানাই। তারাই চ্যাম্পিয়ন হবে। তাই করব, লড়ব, জিতব রে...
সৌরভ দাস: যারা ক্রিকেটকে ভালোবাসে তাঁদের আবেগে ভাঁটা পড়ার কথা নয়। তবে বাংলার প্লেয়াররাও তো বাইরে খেলছে। বাঙালি থাকলে আরও শক্তিশালী হত বিষয়টা। কিন্তু কলকাতাবাসী হয়ে অন্য কেকেআরকে সাপোর্ট করার আর কোনও কারণ লাগে না। আর গৌতম গম্ভীর ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্লেয়ার। এর আগে উনি দুবার কেকেআরকে জিতিয়েছেন, এবার মেন্টর হিসেবেও সাফল্য আসবে। তার সবচেয়ে কারণ খেলার মধ্যে গম্ভীর সবসময় ডুবে থাকেন। সেটা মাঠে দেখাও যাচ্ছে। গম্ভীরই কেকেআরের রূপ বদলে দিয়েছেন।