সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর কাণ্ডের আবহেই বাংলা ইন্ডাস্ট্রির যৌন হেনস্তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। রূপাঞ্জনা মিত্র, অনীক দত্ত, পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়, সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়রাও তাঁকে সমর্থন করেন। এমন অবস্থাতেই সক্রিয় হয়েছিল উইমেনস ফোরাম ফর স্ক্রিন ওয়ার্কাস (Womens’ Forum for Screen Workers+)। ইন্ডাস্ট্রির কাজের পরিবেশ ঠিক রাখার দাবি জানিয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছিল তাঁদের তরফ থেকে। এবার টলিপাড়ায় যৌন হেনস্তা রুখতে কমিটি গড়ার ডাক দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেওয়া হল এই উইমেনস ফোরামের পক্ষ থেকে। চিঠিতে স্বাধীনভাবে কাজ করা পক্ষপাতহীন কমিটি গড়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এর আগে ইম্পা, আর্টিস্ট ফোরাম, ফেডারেশন ও টেলি অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছিল উইমেনস ফোরাম। সেই চিঠিতে আর জি কর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সিনেমা, সিরিয়াল ও ওয়েব প্ল্যাটফর্মে কাজ করা মহিলাদের যৌন হেনস্তার অভিযোগ, নাবালক-নাবালিকাদের নিগ্রহের অভিযোগের কথা জানানো হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতেও সেই বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়।
এর পরই জানানো হয়, প্রতিকারের জন্য নিয়ম-কানুন রয়েছে, তবে তার সঠিক প্রয়োগ নেই। অনেক ক্ষেত্রেই ভুক্তভোগীকে নীরব থাকতে হয়। এর প্রতিকার প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রের সুরক্ষা, স্বাস্থ্যকর পরিবেশ দরকার। আর এই কারণেই মুখ্যমন্ত্রী কাছে এমন একটি স্বাধীন ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি তৈরি করার অনুরোধ করা হয় যা বাংলা বিনোদন জগতের যৌন হেনস্তা, লিঙ্গভিত্তিক হিংসা ও কাজের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের উপযুক্ত তদন্ত করবে।
চিঠিতে উইমেনস ফোরামের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়, কমিটি যেন গ্রাউন্ড লেভেলে কাজ করে। যদি কোনও নিয়ম-কানুনের পরিবর্তন বা সঠিক প্রয়োগ প্রয়োজন মনে হয় তা যেন করে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে উইমেন ফোরাম খবর পেয়েছে এমন কমিটি তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। যদি তা হয়, তাহলে তাদের পক্ষ থেকে সমর্থন থাকবে। এমনটাই জানানো হয়েছে চিঠিতে।
প্রসঙ্গত, ইন্ডাস্ট্রির হেনস্তা রুখতে ইতিমধ্যেই ‘সুরক্ষা বন্ধু’ কমিটি তৈরি করা হয়েছে ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার (FCTWEI) পক্ষ থেকে। সাংবাদিক বৈঠক করে এই কমিটি তৈরির কথা জানিয়েছিলেন ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস।