বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: ভোটে বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে বসে চোরাবালিতে তলিয়ে গেল সিপিএম (CPIM)। আসল কারণ সন্ধানের বদলে দোষারোপ পালটা দোষারোপে মেতে উঠল আলিমুদ্দিন। জেলা নেতৃত্বের তোপের মুখে কমরেডকুলের শীর্ষ নেতৃত্ব। বিপর্যয়ের দায়ভার চাপিয়ে দেওয়া হল শীর্ষ নেতৃত্বের কাঁধেই। ভারচুয়াল সভা পরিণত হল মেছো হাটে। তবে ভোটের ফলাফল থেকে শিক্ষা নিয়ে পার্টি যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র বিরোধিতার রাস্তা থেকে সরে আসবে এদিনের বৈঠক থেকে সেই ইঙ্গিতই মিলেছে। সরকারের জনমুখী প্রকল্পের বিরোধিতা পার্টির বিরুদ্ধে গিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই আগের মতোই তীব্র বিরোধিতা নাকি নতুন পথের সন্ধান। এই প্রশ্নে সরকারের বিরোধিতায় নরম মনোভাব নিয়ে অন্যপথের সন্ধান করতে হবে মনে করছে নেতৃত্ব।
ভোটের পর প্রথম রাজ্য কমিটির সভা। বৈঠক যে উত্তাল হবে তা আগেই আঁচ করা গিয়েছিল। সভা ভারচুয়াল হলেও তা যে মেছো হাটে পরিণত হবে তা ভাবা যায়নি। তাই হলো। শনিবার সিপিএম রাজ্য কমিটির সভা কার্যত মেছো হাটেই পরিণত হয়। শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগের তীর ছুটে আসতে থাকে। নিচুতলায় আলোচনা না করে কেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সঙ্গে জোটের সিদ্ধান্ত। জেলা নেতৃত্বের তোপের মুখে আলিমুদ্দিন। জোট গঠনের ক্ষেত্রে যে নেতৃত্ব একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাদেরকেই বিপর্যয়ের দায়ভার নিতে হবে বলে দাবি তুললেন সিপিএমের একাধিক জেলা নেতা। জেলা নেতৃত্ব আক্রমণের নিশানা বিমান বসু (Biman Bose), সূর্যকান্ত মিশ্র ও মহম্মদ সেলিমরা (MD Selim) ছিলেন বলে মনে করছে আলিমুদ্দিন। তবে তোপের মুখে দাঁড়িয়েও মাথানত করতে নারাজ কমরেডকুলের নেতারা। আগ বাড়িয়ে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (ISF) বা কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে আলিমুদ্দিন জোট ভাঙতে যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
[আরও পড়ুন: ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’, আলাপন ইস্যুতে রাজ্য সরকারের পাশে অধীর-সুজনরাও]
তবে ভোটের ফলাফল বেরোনোর পর যেসব নেতৃত্ব প্রকাশ্যে পার্টি বিরোধী কথা বলেছিলেন তাদের মধ্যে তন্ময় ভট্টাচার্যকে তিন মাসের জন্য মুখ খোলার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আলিমুদ্দিন। বাকিদের ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। কারণ এরা প্রত্যেকেই ব্যক্তিগতভাবে পার্টিকে চিঠি দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বলে জানান সিপিএম রাজ্য সম্পাদক।