বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: ক্ষমতায় থাকা রাজ্যে সরকার বিরোধী হাওয়া কতটা, মোকাবিলায় করণীয় কাজ নিয়ে আলোচনা করতে দলের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত গেরুয়া শিবিরের (BJP)। চলতি সপ্তাহে দিল্লিতে (Delhi) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈঠক হবে। থাকবেন সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda), কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), দলের সাধারণ সম্পাদক-সহ রাজ্যে নিযুক্ত পর্যবেক্ষক ও সহ-পর্যবেক্ষকরা। বৈঠকে রাজ্যের পরিস্থিতি অনুযায়ী নির্বাচনী রণনীতি নিয়ে আলোচনা হবে বলে সূত্রের খবর।
চলতি বছরের শেষে ও আগমী বছর বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। এর মধ্যে যেমন রয়েছে বিজেপি শাসিত গুজরাট, হিমাচল প্রদেশ, ত্রিপুরা, তেমনই নির্বাচন হবে তেলেঙ্গানা, রাজস্থানের মতো অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে। এর মধ্যে ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রী বদল-সহ ব্যাপক সাংগঠনিক রদবদল করা হয়েছে। গত পঁাচ বছরে মুখ্যমন্ত্রী বদল হয়েছে মোদি ও অমিত শাহর রাজ্য গুজরাটেও। আবার তেলেঙ্গানা ও রাজস্থানে ক্ষমতা দখলে মরিয়া শাহ-নাড্ডারা। প্রায়শই এই দুই রাজ্যে যাচ্ছেন পদ্মশিবিরের হেভিওয়েট নেতারা।
[আরও পড়ুন: হস্টেল থেকে ৬০ ছাত্রীর স্নানের ভিডিও ভাইরাল, লজ্জায় আত্মহত্যার চেষ্টা, উত্তাল পাঞ্জাব]
২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। তৃতীয়বারের জন্য অগ্নিপরীক্ষা দেবেন নরেন্দ্র মোদি। টানা ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার ফলে সরকার বিরোধী হাওয়া শক্তি বাড়িয়েছে। সেই সঙ্গে বাংলা, বিহার ও উত্তরপ্রদেশের মতো বেশ কয়েকটি রাজ্যে গতবারের তুলনায় আসন সংখ্যা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আসন কমতে পারে পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতেও। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে অবিজেপি রাজ্য দখলে মরিয়া বিজেপির শীর্ষনেতৃত্ব। যাতে সেখানকার ক্ষতি অন্য রাজ্য থেকে পূরণ করা যায়।
তার আগে অবশ্য দলের হাতে থাকা রাজ্যগুলির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে চান শাহ, নাড্ডারা। পরবর্তীকালে আঞ্চলিক দলের সঙ্গে জোট করে সরকারে থাকা রাজ্যের শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গেও শাহরা বৈঠক করবেন বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি দলের কোর কমিটির বৈঠকে বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা রিপোর্ট চিন্তার ভঁাজ ফেলেছে গেরুয়া নেতাদের কপালে। লোকসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া নিয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি শীর্ষনেতারা। তাই আগে থেকে প্রস্তুতি সেরে রাখতেই রাজ্য ধরে ধরে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সূত্রের খবর।